বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন গঠন, চেয়ারপারসন প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনের চেয়ারপারসন হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিকল্প চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।

সোমবার (৪ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কমিটি ও অর্থনৈতিক) জাহেদা পারভীন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার ‘বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন’ গঠন করেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে ভাইস চেয়ারপারসন ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যদের এ কমিশনের সদস্য এবং পরিকল্পনা বিভাগের সচিবকে সদস্য-সচিব করা হয়েছে। খবর বাসসের।

কমিশনের কার্যপরিধিতে বলা হয়, রুলস অব বিজনেস-১৯৯৬ অনুযায়ী কমিশনের কার্যপরিধি হচ্ছে- দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ কর্তৃক অনুমোদনের লক্ষ্যে উপস্থাপনের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ও সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) খসড়া চূড়ান্ত করা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে উপস্থাপনের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন পর্যালোচনা ও হালনাগাদকরণের নির্দেশনা প্রদান। জাতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি পর্যালোচনা এবং জাতীয় পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বিষয়াবলি সম্পর্কে আন্ত:মন্ত্রণালয় মতপার্থক্য দূরীকরণ।

এতে আরও বলা হয়, প্রয়োজনে ভাইস চেয়ারপারসনের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভা করা যাবে।

এজন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব/সচিব, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব এবং গুরুত্বপূর্ণ আন্তঃমন্ত্রণালয় মতপার্থক্যের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি/প্রতিনিধিদের বর্ধিত সভায় যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। এ কমিশনে ‘সচিব’ বলতে সিনিয়র সচিবও অন্তর্ভুক্ত হবেন।

এছাড়াও কমিশনের বৈঠক প্রয়োজনানুসারে অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়োজনে কমিশন নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। পরিকল্পনা বিভাগ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।

পাশাপাশি পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভা খসড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ও খসড়া সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুমোদনের লক্ষ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করবে।

তবে এ সংক্রন্ত বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১৮ জানুয়ারি ২০২৮ তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন বতিল বলে গণ্য হবে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।