ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশের সামনে বিশাল টার্গেট ছুড়ে দিল নিউজিল্যান্ড। বুধবার (১২ অক্টোবর) নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২০৮ রান। জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ২০৯ রান।
কিউই ব্যাটার কনওয়ে ৪০ বলে ৬৪ ও ফিলিপস ২৪ বলে ৬০ রান করেন। টাইগার বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও এবাদত হোসেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকার ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। সে সিদ্ধান্তকে অনেকটা ভুল প্রমাণ করতে ব্যাট হাতে ভয়ংকর হয়ে ওঠেন দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ে।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে এসে অ্যালেনকে ফিরিয়ে অবশ্য বিপর্যয় কিছুটা সামাল দেন শরিফুল ইসলাম। শর্ট ও বাউন্সের ফাঁদে ফেলে অ্যালেনকে ইয়াসির আলীর ক্যাচে পরিণত করেন শরিফুল। সাজঘরে ফেরার আগে ১৯ বল মোকাবিলায় ১৬৮-এর ওপর স্ট্রাইকরেটে তিনি করেন ৩২ রান। ৩ বাউন্ডারির পাশাপাশি ২টি ছক্কার হাঁকান তিনি।
এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মার্টিন গাপটিলকে নিয়ে ঝড় তুলতে থাকেন কনওয়ে। ধীরে খোলস থেকে বের হতে থাকেন গাপটিলও। দুজনের ৮২ রানের জুটি ১৪তম ওভারে এসে ভাঙেন এবাদত হোসেন। তার করা ফুলটস বল লং অসের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানাতে ধরা পড়েন নাজমুল হাসান শান্তর হাতে। ২৭ বল মোকাবিলায় ৩ চার ও এক ছক্কায় তিনি ৩৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
অন্যপ্রান্তে দাঁড়িয়ে চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ অর্ধশতক তুলে নেন কনওয়ে। এরপর হয়ে ওঠেন আরও বিধ্বংসী। তাকে সঙ্গ দিতে আসা গ্লেন ফিলিপস প্রথম থেকে ব্যাট করতে থাকেন দুইশোরও ওপর স্ট্রাইকরেটে। ১৭তম ওভারে এসে কিউইদের ইনিংসের লাগাম টেনে ধরেন সাইফুদ্দিন। তাকে লেগ স্কয়ারে ওভার বাউন্ডারির হাঁকাতে গিয়ে শান্তর হাতে ক্যাচবন্দি হন কনওয়ে। ৪০ বল মোকাবিলায় ৫ চার ও ৩ ছক্কার মারে ৬৪ রান করেন এ কিউই ওপেনার। কনওয়ের বিদায়ের দুই বল পরেই মার্ক চাপম্যানকে বোল্ড করেন সাইফুদ্দিন। ৩ বলে ২ রান করেন তিনি।
অপরদিকে ছক্কার ঝড় তুলে ১৯ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে নেন গ্লেন ফিলিপস। তার একক আধিপত্যে ব্যাট হাতে কোনো চাপই নিতে হয়নি জেমস নিশামকে। শেষ ওভারে দুই বল বাকি থাকতে ফিলিপসকে অবশ্য বোল্ড করেন এবাদত। কিন্তু ততক্ষণে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যটা গিয়ে দাঁড়ায় পাহাড়সম। ২৪ বল মোকাবিলায় ৫ ছক্কা ও ২ চারের মারে ৬০ রান করেন ফিলিপস।
টাইগার বোলারদের মধ্যে এদিন সাইফুদ্দিন ছাড়া বাকি সবার ইকোনমি রেট ছিল দশের উপর। ৩৭ রান খরচায় সাইফুদ্দিন ২ উইকেট শিকার করেন। এবাদত ২ উইকেট তুলতে খরচ করেন ৪০ রান। অন্য পেসার শরিফুলের এক উইকেট শিকার করতে খরচ ৪১ রান। এদিন কোনো উইকেটের দেখা পাননি টাইগার স্পিনাররা।