বাংলাদেশের সাথে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ঐক্যের মতই সবক্ষেত্রে ঐক্য চায় প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারত।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিলেটে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ ডায়লগের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ ও ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত উৎসবে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ভারতের বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগীয় মন্ত্রী ড. রাজকুমার রঞ্জন সিং, ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার মি. প্রনয় ভার্মা, সাবেক মন্ত্রী ভিনসেন পালাসহ দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এসময় দুই দেশের নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ-ভারতের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি সবক্ষেত্রে ঐক্যের তাগিদ দেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সোনালী অধ্যায় রয়েছে। জি-২০’র মাধ্যমে বাংলাদেশ লাভবান হয়েছে। রেল, রোড, পানি ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সংযোগ রয়েছে। আগরতলার সঙ্গে রেললিংক সংযোগ হবে। মোংলা সমুদ্র বন্দর সুবিধার মাধ্যমে বাংলাদেশ আরো লাভবান হবে। বিশেষ করে নেপালের সঙ্গে ভারতের গ্রীড লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরহ সুবিধার পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। ভারত থেকে সোস্যাল ইকোনোমিক্যালি বাংলাদেশ লাভবান হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেম্বার অব গভার্মেন্ট কাউন্সিল শ্রীসুরেয়া দোভাল বলেন, বাংলাদেশ -ভারতের কালচারার ও পলিটিক্যাল ইতিহাসের মিল রয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ভিনসেন পালা বলেন, বাংলাদেশের সিলেট ও ভারতের শিলংয়ের মধ্যে গভীর সম্পর্ক ব্যবসার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে ব্যবসার ক্ষেত্রে এই দুটি স্থানের ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা আদান-প্রদান করে থাকেন। যে কারণে আমাদের দুই দেশের মধ্যে টেকনোলজি শেয়ার করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। তাছাড়া চিকিৎসা ক্ষেত্রেও বাংলাদেশীদের আসা যাওযার ক্ষেত্রে ভিসার প্রয়োজনীতা আরো সহজীকরণ এখন সময়ের দাবি। এ ধরণের ডায়লগের মাধ্যমে এসব গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে।
ভারতের সাবেক সংসদ সদস্য স্বপন দাস গুপ্ত বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘ সময় সম্পর্ক। এই সম্পর্কটা গুরুত্বপূর্ণ। এরআগে শিলচর কাছাড়ের ডায়লগটাও ছিল গুরুত্বপূর্ণ।