বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রশংসনীয় : সিলেটে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি দেশ। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বিশেষ করে রপ্তানি খাতে বাংলাদেশ সমপর্যায়ের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে গিয়েও বাংলাদেশের পণ্য দেখতে পাই। কিন্তু ভিয়েতনামে বাংলাদেশশি পণ্য রপ্তানির পরিমাণ খুবই কম। আমরা বাংলাদেশের সাথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধিতে অত্যন্ত আগ্রহী। সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম সরকারের প্রচেষ্টায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বেড়েছে। তবে দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ভিয়েতনাম বাংলাদেশ থেকে টোব্যাকো আমদানি করে থাকে এবং ভিয়েতনামে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশে কোনো বাধা নেই। এই সুযোগ বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা কাজে লাগাতে পারেন।

অদ্য (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট চেম্বাররের কনফারেন্স হলে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন এর সাথে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ।

সভাপতির বক্তব্যে ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার অত্যন্ত ব্যবসাবান্ধব। বিশেষ করে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে সিলেটে স্পেশাল ইকোনমিক জোন ও হাই-টেক পার্ক গড়ে উঠেছে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সবধরণের সহযোগিতা করতে সরকার প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি সিলেটে বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন এবং এ অঞ্চলে শিল্প, শিক্ষা, আইটি ও পর্যটন খাতে বিনিয়োগের জন্য ভিয়েতনামের বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানান। এছাড়া তিনি ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিলেট সফর ও সিলেট চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হওয়ার জন্য ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।

সভায় ভিয়েতনাম-বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য সম্পর্ক ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রসমূহ নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফজলে এলাহী মো. ফয়সল।

এছাড়া এ বিষয়ে তথ্যমূলক বক্তব্য দেন, অ্যাসোসিয়েশন অব দ্যা ভিয়েতনামিজ বিজনেস ইন বাংলাদেশ এর কো-অর্ডিনেটর ডো ভ্যান ট্রং, ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি বশির আহমদ, সিলেট চেম্বারের পরিচালক ফাহিম আহমদ চৌধুরী, তরুণ উদ্যোক্তা মাহদি সালেহীন ও মাসনুন আকীব বড়ভূঁইয়া।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন, ডাচ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট জি আর চৌধুরী, ভিয়েতনাম অ্যাম্বেসির এটাচি নুয়েন ভিয়েত আন, সিলেট চেম্বারের পরিচালক ও এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক মো. হিজকিল গুলজার, পরিচালক মুশফিক জায়গীরদার, হুমায়ুন আহমদ মুজিবুর রহমান মিন্টু, আলীমুল এহছান চৌধুরী, কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ইউকেবিইট’র নির্বাহী পরিচালক এম. এ. সায়েম, সিলেট চেম্বারের সদস্য সানজিদা খানম, শায়েস্তা তালুকদার, আব্দুল্লাহ আল হারুন প্রমুখ।