বাংলাদেশের প্রয়োজন অনুযায়ী ‘যথেষ্ট পরিমাণ ভোজ্যতেল’ পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া সরকার; এমন আশার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
শুক্রবার (২২ জুলাই) সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটে আমাদের নাগরিক দায়িত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ড. মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর জেরে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন দেশে খাদ্যের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। আমাদের দেশেও মাঝখানে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ে। আমরা যে সমস্ত দেশ থেকে ভোজ্যতেল আনি… আমি ইন্দোনেশিয়ায় গিয়েছিলাম, তারা আমাদেরকে এখন যথেষ্ট তেল দেবে। সুতরাং ঝামেলা হবে না।’
যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ‘দূরের দেশ’ হয়েও বাংলাদেশ বিপাকে আছে জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আমরা খুব ঝামেলায় আছি। সব দেশ, যারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারাও কিন্তু ঝামেলায় আছে।’
এ সময় মন্ত্রী বিদ্যুৎ নিয়েও কথা বলেন। দেশে বিদ্যুতের ‘অভাব নেই’, আগাম সতর্কতা হিসেবে সরকার সাশ্রয়ের দিকে গেছে বলে মন্তব্য করেন ড. মোমেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীতে যাতে অসুবিধা না হয়। আমাদের সক্ষমতা আছে, তবুও আমরা ইচ্ছা করে নিজেদের সংযম করার জন্য একটা উদ্যোগ নিয়েছি। এই উদ্যোগটা আমাদের সব সদস্যদেরও নেওয়া উচিত।আমাদের সাশ্রয়ী হওয়া দরকার। কারণ আগামীতে কতদিন যুদ্ধ হবে, এর ফলে কী অবস্থা হবে- সেটা আমরা জানি না।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিলের শেষে নিজেদের চাহিদা মেটানোর জন্য অপরিশোধিত পাম অয়েল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ইন্দোনেশিয়া। বাংলাদেশে আমদানি করা পাম অয়েলের ৯০ শতাংশই আসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি থেকে।অবশ্য কৃষকদের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে এক মাস পরে রপ্তানির ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় দেশটি।