আরটিএম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, সিলেট এর বিজনেস এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের ডিন প্রফেসর ড. তোফায়েল আহমদ বলেছেন, ‘বিশ্বায়নের যুগে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে গেলে প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে চলতে হবে। উইমেন্স মডেল কলেজ একটি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর মহিলা কলেজ, যা তোমাকে যোগ্যতম স্থানে নিয়ে যাবে।’
মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) সিলেট শহরতলীর দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুলস্থ উপহার কমিউনিটি সেন্টারে উইমেন্স মডেল কলেজ কর্তৃক আয়োজিত এসএসসি উত্তীর্ণ কৃতি ছাত্রী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘অযথা সময় নষ্ট না করে অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে ভালো ফলাফল অর্জন করতে হবে। উইমেন্স মডেল কলেজ তোমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় যুব উদ্যোক্তা পুরস্কার ‘২২ প্রাপ্ত তরুণ উদ্যোক্তা ও আত্মকর্মী এম. ডি. ফয়সাল আলম বলেন, ‘উইমেন্স মডেল কলেজ সিলেটের একটি স্বনামধন্য নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সিলেটের নারী শিক্ষার্থীদের জন্য এক আতুরঘর।’
উইমেন্স মডেল কলেজের ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক স্নিগ্ধা চক্রবর্তী এবং পৌরনীতি ও সুশাসন বিভাগের প্রভাষক হেলাল হামামের সঞ্চালনায় এবং ইএসডি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমদ লস্করের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি দুটি পর্বে বিভক্ত ছিল।
প্রথম পর্বে আলোচনা সভা ও অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদান এবং দ্বিতীয় পর্বে কৃতি ছাত্রীদের সংবর্ধনাস্বরূপ ক্রেস্ট বিতরণ। অনুষ্ঠানে সহযোগিতায় ছিলো দক্ষিণ সুরমার ক্রিয়েটিভ টিচিং একাডেমী।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অত্র কলেজের সিনিয়র প্রভাষক মৌসুমী আক্তার খানম। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন, উইমেন্স মডেল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফারিহা রহমান শুচি।
অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্রিয়েটিভ টিচিং একাডেমীর সমন্বয়ক জনাব সৈয়দা তাসবিহা আহমেদ এবং স্বদেশ কোচিং সেন্টারের পরিচালক জনাব আউয়াল আহমেদ ভুইয়া।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা উইমেন্স মডেল কলেজের অধ্যক্ষ জনাব আব্দুল ওয়াদুদ তাপাদার তাঁর বক্তব্যে বলেন, “টিন-এজের ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ। তাই এইসময়ে প্রয়োজন বাড়তি যত্ন এবং তাদের শিক্ষাজীবনের জন্য নিতে হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। উইমেন্স মডেল কলেজ ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা ও ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গঠনে অভিভাবক হিসেবে ভূমিকা রাখে এবং ছাত্রীদের স্বপ্নপূরণে নিজেদের সর্বোচ্চটা ঢেলে দেয়। আমাদের রয়েছে আধুনিক মানসম্মত সুরক্ষিত একটি হোস্টেল। যেখনে মফস্বলের মেয়েরা নির্বিঘ্নে আবাসিক ব্যবস্থাপনায় পড়াশোনা করছে।”
অনুষ্ঠানের সভাপতি ইএসডি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমদ লস্কর সমাপনী বক্তব্যে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সিলেট শহরতলীর দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, সভাপতি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ।