দীর্ঘস্থায়ী ভয়াবহ বন্যায় কুলাউড়া পৌরসভার রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পৌর এলাকার গুগালীছড়ার ৩টি স্থানে ভাঙনের ফলে ফসলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে কুলাউড়া পৌরসভার ১১ কিলোমিটার রাস্তার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৭ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে কুলাউড়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিগত বন্যায় কুলাউড়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ৩টি গ্রাম, ২নং ওয়ার্ডের ২টি গ্রাম, ৩নং ওয়ার্ডে অবস্থিত উপজেলা প্রশাসন এলাকা, উপজেলা সদর হাসপাতালসহ ৭টি এলাকা, ৪,৫,৬ ও ৮নং ওয়ার্ডের আংশিক এলাকা প্লাবিত হয় এবং এ বন্যা প্রায় ১ মাস দীর্ঘস্থায়ী হয়। বন্যায় ৬নং ওয়ার্ডের গুগালীছড়া খালের ৩টি স্থানে ভাঙন দেখা দেয়।
১নং ওয়ার্ডের বিছরাকান্দি-সোনাপুর-বিহালা রাস্তা, সাদেকপুর গ্রামের রাস্তা, বিহালা মুহিবুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রাস্তা, ২নং ওয়ার্ডের দেখিয়ারপুর রাস্তা, নার্সারী উত্তর পার্শ্বের রাস্তা ও শিবির রোড, ৩নং ওয়ার্ডের নতুনপাড়া রাস্তা, হাসপাতাল সড়ক, উপজেলা পরিষদের রাস্তা, স্টেশন রোড, ৪নং ওয়ার্ডের মাগুরা রোড, দক্ষিণ মাগুরা রোড, ৫নং ওয়ার্ডের ভাঙ্গারী পট্টি রোড, উছলাপাড়া রাস্তা, খেলার মাঠের উত্তর পার্শ্বের রাস্তা, ৬নং ওয়ার্ডের ভোলানাথ রাস্তা, পূর্ব জয়পাশা রাস্তা, গুগালীছড়ার পশ্চিম পার্শ্বের রাস্তা, ৮নং ওয়ার্ডের চাতলগাঁও ঈদগাহ রোড, দক্ষিণ চাতলগাঁও রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকা থেকে পানি নামায় বন্যার ভয়াবহতার চিহ্ন দৃশ্যমান হয়েছে। বন্যার পানির তোড়ে এগুলোর বিভিন্ন অংশের পীচ ও পাথর সরে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত অসংখ্য খানাখন্দের। এ অবস্থায় এলাকার লোকজন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল আজিজ, ২নং ওয়ার্ডের এইচডি রুবেল জানান, বন্যার দুর্ভোগ শেষ হলেও বন্যার রেখে যাওয়া আঁচড়ে দুর্ভোগের শেষ নেই। কোন রিকশা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা দিয়ে যেতে চায় না। গেলেও গুনতে হয় দ্বিগুন ভাড়া। তাছাড়া হাঁটাচলাও মুশকিল। জরুরিভিত্তিতে মেরামত কাজ না হলে মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।
আরও পড়ুন : কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
কুলাউড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী জানান, দীর্ঘস্থায়ী এই বন্যায় পৌর এলাকার শহর ও পাড়া মহল্লার বিভিন্ন রাস্তার প্রায় ১১ কিলোমিটার ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ টাকার অঙ্কে প্রায় ২৭ কোটি টাকা।
পৌর মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ জানান, স্বল্প আয়ের পৌরসভার সংস্থাপন ব্যয়ভার মিটিয়ে বিদ্যমান ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো পুনরায় মেরামত করা পৌরসভার স্বক্ষমতার বাইরে। এত বিশাল অঙ্কের ক্ষতিপূরণে সরকারের উন্নয়ন সহায়তা তহবিল থেকে অনুদান ছাড়া সম্পন্ন করা কঠিন হবে।