বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলির আদেশকে শাস্তি হিসেবে গণ্য করার কোনও সুযোগ নেই বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ‘অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড বনাম মো. হানিফ শেখ এবং অন্যান্য’ শীর্ষক মামলার সাত পৃষ্ঠার রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয়েছে। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগের স্বাক্ষরের পর রায়টি প্রকাশ হয়েছে।
মামলার বর্ণনা দিয়ে রায়ে বলা হয়েছে, এটি সত্যি যে শাস্তির আদেশে বিবাদীর (হানিফ শেখ) একটি ইনক্রিমেন্ট প্রত্যাহারের পাশাপাশি বদলির কথা বলা হয়। কিন্তু বদলির আদেশকে শাস্তি হিসেবে গণ্য করার কোনও সুযোগ নেই। এটি একটি প্রশাসনিক আদেশ, যা চ্যালেঞ্জ করা যায় না এবং শাস্তি হিসেবে গণ্য করা যায় না।
এর আগে চাকরি দেওয়ার কথা বলে অর্থ নেওয়ার অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা (ক্যাশ) হানিফ শেখের তিনটি বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট প্রত্যাহারের পাশাপাশি অন্যত্র বদলি করার সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
পরে ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হানিফ শেখ ব্যাংকের বোর্ডের কাছে আপিল করেন। বোর্ড তিনটির পরিবর্তে একটি ইনক্রিমেন্ট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত দেয়। এর বিরুদ্ধে হানিফ প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করলে তা নামঞ্জুর হয়। পরে আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন হানিফ। প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের আদেশ বাতিল করে এবং হানিফের আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন আপিল ট্রাইব্যুনাল। হানিফের বিরুদ্ধে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ যারা করেছিলেন, তারাও তা প্রত্যাহার করেন।
তবে আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে অগ্রণী ব্যাংক আপিল বিভাগে আবেদন করে। যা নিষ্পত্তি গত ৩১ জুলাই প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে অগ্রণী ব্যাংকের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ এ রায় ঘোষণা করেন। আপিল বিভাগের রায়ে ফলে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। পরে সে রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করলেন আপিল বিভাগ।