ভাসানী-ওসমানী স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর ও সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বাংলাদেশের দুর্যোগ মুহূর্তে কান্ডারী, একদলীয় শাসনের একমাত্র প্রতিবাদকারী জেনারেল মুহম্মদ আতাউল গণী ওসমানীর ১০৬তম জন্মবার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালিত হয়। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শাহজালাল দরগাহ প্রাঙ্গণে ওসমানীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পন, ফাতেহা পাঠ ও কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। পরে বিকেলে ওসমানীর কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সংসদের উপদেষ্টা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমদ সেলিমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম বকুল। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলাম মর্তুজা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মো. সুলতান চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন মো. রাগিব আলী, ফারুক আহমদ, মো. জহির আলী, সুহেল আহমদ, হাবীব আলী মিঠু প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের নেতৃস্থায়ী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে ওসমানীর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের দাবী জানিয়ে বলেন, বঙ্গবীর ওসমানী ছিলেন সৎ ও আদর্শের রাজনীতির অগ্রপথিক। মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব পালন করে বাঙালির হাজার বছরের প্রত্যাশিত ভূখণ্ড স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ লাভে অসামান্য অবদান রেখেছেন ওসমানী। একাত্তরের দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে যার রণকৌশল ও নেতৃত্বে আমরা অর্জন করেছি লাল সবুজের পতাকা। আজকের দিনে বঙ্গবীর ওসমানীর মত দেশপ্রেমিক মানুষের বড়োই প্রয়োজন। তাঁকে বাদ দিয়ে স্বাধীনতার ইতিহাস অসম্পূর্ণ রয়েছে। তিনি নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার স্বার্থে মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী’র বর্ণাঢ্য জীবনী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবী জানান।