মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিশ্বের বুকে এক বিস্ময়, এর স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ধর্ম, বর্ণ, পেশা, সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে তিনি ছিলেন দেশের সকল মানুষের নেতা। তিনি সঠিকভাবে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের সম্মিলন ঘটিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সুদূরপ্রসারী। তাঁর চিন্তাচেতনা ছিল দলমতের ঊর্ধ্বে। ১৯৬৬ সালের ছয় দফা কর্মসূচি ছিল অসাধারণ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও একজন সফল রাষ্ট্রনায়কের চিন্তার প্রতিফলন।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার সকালে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শিশুদের বিষয়ে খুবই যত্নশীল ছিলেন। তিনি শিশুদের কল্যাণে প্রভূত কাজ করেছেন। আমাদেরকেও শিশুদের ব্যাপারে যত্নশীল হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম হাবিবুর রহমান লাইব্রেরি হলে সকাল সাড়ে নয়টায় আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শিব প্রসাদ সেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব এবং আইন ও বিচার বিভাগের প্রধান গাজী সাইফুল হাসানের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক এবং ব্যবসা ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. তাহের বিল্লাল খলিফা।
রেজিস্ট্রার তারেক ইসলামের স্বাগত বক্তব্যে সূচিত সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন সহযোগী অধ্যাপক শেখ আশরাফুর রহমান। আরও বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল হক চৌধুরী, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী এম. মোকাম্মেল ওয়াহিদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিহিরকান্তি চৌধুরী প্রমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর জানায়, যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিভিন্ন কর্মসূচিতে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি দিবসটি পালন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে সকাল নয়টায় বটেশ্বরস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা ও ইউনিভার্সিটির পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য মোহাম্মদ জহিরুল হক ও উপ-উপাচার্য শিব প্রসাদ সেন।
সকাল সোয়া নয়টায় স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে উপাচার্যের নেতৃত্বে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ পর্ব পরিচালনা করে ইউনিভার্সিটির রোভার স্কাউটস।
এদিকে সকল অতিথি, শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, উপস্থিত শিশু ও কর্মচারীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশাল কেক কাটেন উপাচার্য জহিরুল হক। আলোচনা সভা শেষে ছিল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের সন্তানদের মধ্যে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা বিজয়ী প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও শিক্ষকবৃন্দ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক খন্দকার মকসুদ আহমেদ, আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক (ইএলটি) ও ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রমা ইসলাম, পরিচালক (অর্থ) ইনামুল হক, ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান মাশরুফ আহমেদ চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।