‘বঙ্গবন্ধুর সকল আন্দোলন-সংগ্রামে পাশে ছিলেন বঙ্গমাতা’

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেছেন, আজ ৮ আগস্ট মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী। ইতিহাস থেকে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর সকল আন্দোলন-সংগ্রামে পাশে থেকে তিনি সহযোগিতা করেছেন। জাতির পিতার সকল দুর্যোগে সাহসী ভূমিকা পালন করতেন। ছোটবেলা থেকেই বঙ্গমাতার এই অভ্যাস গড়ে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধু যখন কলকাতা যেতেন, তখন তিনি টাকা-পয়সা জমিয়ে উনার হাতে তুলে দিতেন। এভাবেই বঙ্গবন্ধুর সকল কাজে তিনি পাশে থাকতেন। অর্থাৎ তিনি হলেন বঙ্গবন্ধুর সকল লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণাদায়ী এবং সকল ত্যাগ ও অর্জনের নিত্যসঙ্গী।

তিনি বলেন, মাতৃস্নেহের পারিবারিক আদর্শকে ধারণ করেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। জননেত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। তবে বঙ্গমাতার নেতৃত্বের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিষয়ে সর্তক থেকে দলকে সুসংগঠিত করে এগিয়ে যেতে হবে।

সোমবার (৮ আগস্ট) বাদ যোহর হযরত শাহজালাল (রহঃ) দরগাহ মসজিদের নিচতলায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকীতে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও শিরনী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন।

অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, আজ বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণা ও সাহসী নারী নেতৃত্ব বঙ্গমাতার জন্মদিন। তিনি ১৯৩০ সালে টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। জাতির জনকের সহধর্মিণী হিসেবে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পাকিস্তান আমলে প্রায় ২৪ বছরের মধ্যে বেশিরভাগ সময় বঙ্গবন্ধু কারাগারে ছিলেন। সেই সময় তিনি পরিবার ও আওয়ামী লীগকে সামলে নিয়েছিলেন। বিশেষ করে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষণ যা ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। অনেকে অনেক কথা বললেও আমরা জানি, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পূর্বে বঙ্গমাতা বলেছিলেন- তোমার মনে যা আসবে তা-ই তুমি বলবে। জাতির পিতা ভাষণে তা-ই করেছিলেন। তিনি যা বলেছিলেন তা মুক্তির সনদ হিসেবে ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এই মহীয়সী নারী পরিবারকে লালন-পালন করেছিলেন। প্রত্যেকটি সন্তানকে সুশিক্ষিত ও উচ্চশিক্ষিত করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা, বঙ্গমাতাসহ পরিবারের সকল সদস্যদেরকে হত্যা করা হয়। ইতিহাস থেকে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরেও নরপিশাচদের কাছে তিনি প্রাণ ভিক্ষা চাননি। এটাই হলো সাহসী নারী নেতৃত্বের আত্মত্যাগ। জাতি চিরদিন তাঁর অবদানকে স্মরণ রাখবে। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার গুনে গুণান্বিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মওলানা জসিম উদ্দিন। দোয়া মাহফিলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবারের সকল নিহত সদস্যের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র দীর্ঘায়ু , মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জি.এম.জেড কয়েছ গাজীর সুস্থতা কামনাসহ দেশ ও জাতি এবং বিশ্বের শান্তি কামনা করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম পুতুল, মো. সানাওর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ হোসেন রবিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, সদস্য আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, আব্দুল আজিম জুনেল, মুক্তার খান, রাহাত তরফদার, সাব্বির খান, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, জুমাদিন আহমেদ, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আব্দুল মালিক সুজন, এনাম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, কানাই দত্ত,ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য জুনেদ আহমদ শওকত, হায়দার মো. ফারুক, আক্তার হোসেন, দেলোওয়ার হোসেন রাজা, ইসমাইল মাহমুদ সুজন, জায়েদ আহমেদ খাঁন সায়েক, নজরুল ইসলাম নজু, শেখ সুরুজ আলম, মানিক মিয়া, মাহবুব খান মাসুম, মঈনুল ইসলাম মঈন, ফজলে রাব্বি মাসুম, শেখ সোহেল আহমদ কবির, জাবেদ আহমদ, মো. ছয়েফ খাঁন, সাজোয়ান আহমদ প্রমুখ।