বকেয়া এরিয়ার বিল পূর্ণাঙ্গ ও এককালীন পরিশোধের দাবি

আংশিক নয়, অবিলম্বে বকেয়া এরিয়ার বিল পূর্ণাঙ্গ ও এককালীন পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন, সিলেট জেলা শাখা।

বুধবার (০৮ মার্চ) বিকাল ৪ টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিরেন সিং এর সভাপতিত্বে ও রতন বাউরির পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা শফিকুল ইসলাম, জেলা উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন সভাপতি মুখলেসুর রহমান, জেলা সদস্য প্রসেনজিৎ রুদ্র।

আরো বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি আমেনা বেগম, পঞ্চমী লোহার, উষা বুনার্জি, জোনাকি দাস, শয়ন সিং প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে শ্রম মন্ত্রণালয় গত ১ মার্চ প্রতি শ্রমিককে ২০২১-২২ সালের বিলম্বিত চুক্তির এরিয়ার টাকা ১১ হাজার টাকা তিন দফায় পরিশোধ করার জন্য পরিপত্র জারি করে। যা শ্রমিকদের জন্য হতাশাজনক।

তারা বলেন, ২০২১-২০২২ সালের নতুন মজুরি কার্যকর হয় ২০২২ সালের ২৮ আগস্ট। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট পর্যন্ত শ্রমিকরা পুরাতন মজুরি ১২০ টাকা পেয়ে এসেছেন নতুন মজুরি কার্যকর না হওয়ায়। ২৮ আগস্ট থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে নতুন মজুরি ১৭০ টাকা কার্যকর হয়। ফলে পূর্বের প্রায় ১৯ মাসের এবং ৬০৪ দিনের ৫০ টাকা হারে প্রায় ৩০ হাজার টাকা বকেয়া মজুরি বা এরিয়ার পাওনা হয় মালিকদের কাছে। এই এরিয়া টাকা চা শ্রমিকদের রক্ত ঘাম করা নায্য পাওনা, কারো দয়ার দান নয়। চুক্তিতে ২০ মাস দেরি করার দায় শ্রমিকদের নয়, বরং এর সম্পূর্ণ দায় মালিকদেরই।

বক্তারা বলেন, গত ছয় মাস যাবত আলোচনার নামে সময় ক্ষেপণ করে মালিকরা আর সরকার ও শ্রম মন্ত্রণালয় এই ঘোষণা দিয়ে কার্যত মালিকপক্ষের সাথেই অবস্থান নিলেন। অথচ এই বছর সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমান চা উৎপাদন করে হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফা করছে মালিকরা। তাই তিন দফায় এই বকেয়া মজুরি আংশিকভাবে দেয়াটা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।

বক্তারা শ্রমিকদের সকল চক্রান্ত রুখে দিয়ে আপোষহীনভাবে এই পূর্নাঙ্গ ও এককালীন এরিয়ার বিল এর প্রদান ও অবিলম্বে নতুন চুক্তি সম্পাদন করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।