সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় একদিনে পাগলা কুকুরের কামড়ে পথচারী শিশু, নারী-পুরুষ, বৃদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার ঘিলাছড়া ও মাইজগাঁও ইউনিয়ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন সুবিধা না থাকায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
স্থানীয় ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, রোববার (৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের গাজীপুর, কোরবানপুর, আশিঘর গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী মাইজগাঁও ইউনিয়নের শরীফগঞ্জ, মাইজগাঁও গ্রামে একের পর এক মানুষকে পাগলা কুকুর কামড় দেওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন সন্ধ্যায় লোকজন বিয়ালীবাজারে কুকুরটিকে খুঁজে বের করে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত পর্যন্ত ৩০ জন বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন। অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। কুকুরের কামড়ের শিকার ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধের কোনো ভ্যাকসিন নেই। জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধের কোনো ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। বাধ্য হয়ে বেশি দামে ওষুধের দোকান থেকে ভ্যাকসিন কিনেছেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতালে জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধের কোনো ভ্যাকসিন বরাদ্দ থাকে না। ফলে সামর্থ্য না থাকায় অনেকে বিপাকে পড়েছেন। আক্রান্তদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সাব্বির আহমদ বলেন, রোববার সকাল থেকে রাত অবধি কুকুরের কামড়ের শিকার ৩০ জন চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসেন। তারা উপজেলার ঘিলাছড়া ও মাইজগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান বলেন, উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধের ভ্যাকসিন বরাদ্দ থাকে না।