গাইবান্ধায় ফুটন্ত গরম পানিতে স্বামী মোস্তাফিজুর রিপনের শরীর ঝলসে দিয়ে পালিয়ে গেলেন স্ত্রী সাবানা বেগম। বর্তমানে স্বামী রিপন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে, একই দিন ভোরে গাইবান্ধা শহরের সুখনগর এলাকার নিজ বাড়িতে রিপনের শরীরে গরম পানি দেয়ার ঘটনা ঘটে।
আহত মোস্তাফিজুর ওই এলাকার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে স্ত্রী সাবিনা বেগম। গত ১৫ বছর আগে রিপনের সঙ্গে বিয়ে হয় সাবানার। তাদের ১৩ বছরের এক ছেলে ও সাত বছরের এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। সাবানা বেগম সাদুল্লাপুর উপজেলা শহরের ভোলার মেয়ে।
হাসপাতালে রিপনের স্বজনরা জানান, প্রতিদিনের মতো বাড়িতে বিছানায় ঘুমাচ্ছিলেন স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান রিপন। ভোর রাতে ঘুমন্ত রিপনের শরীরে স্ত্রী সাবানা ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে দেয় এবং বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় রিপনের চিৎকারে তার মা এসে দরজা খুলে দেখেন রিপনের চোখসহ শরীরের মাথার দিকের বেশিরভাগ অংশই ঝলসে গেছে। ঘটনার সময় ভোর রাতেই স্ত্রী সাবানা বেগম বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহত অবস্থায় রিপনকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তানভীর রহমান বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি শরীর ঝলসানো অবস্থায় গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাকে সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে সকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি অপারেশন) জাহাঙ্গীর আলম জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনায় জড়িত স্ত্রী সাবানা বেগম পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।