ওআইসির জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে ফিলিস্তিনিদের সমস্যা সমাধানে ১০টি প্রস্তাব দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পাশাপাশি দখলদার দেশটির ওপর তেল ও পণ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ইরানের উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো হলো:
১. গাজার জনগণের ওপর অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ করা এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্বিচার হামলাসহ সেখানকার হাসপাতাল, স্কুল, ক্যাম্প এবং ত্রাণ কেন্দ্রে হামলা বন্ধ করার ব্যবস্থা করা।
২. গাজার ওপর থেকে অবরোধ সম্পূর্ণ তুলে নেওয়া। মিশরীয় ভাইদের সহযোগিতায় রাফাহ ক্রসিং অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে পুনরায় চালু করে গাজায় খাদ্য, ওষুধসহ ত্রাণ সরবরাহের ব্যবস্থা করা। মানবিক সাহায্য পাঠানোর বিষয়ে মুসলিম দেশগুলোর সম্মানিত নেতৃবৃন্দকে এই বৈঠকেই সম্মত হতে হবে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য একটি নির্বাহী কমিটি গঠন করতে হবে।
৩. গাজা থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাদেরকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করার ব্যবস্থা নেওয়া।
৪. মুসলিম দেশগুলোকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সকল সম্পর্ক ছিন্ন করা।
৫. মুসলিম দেশগুলোকে আগ্রাসী ও দখলদার ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
৬. সাম্প্রতিক যুদ্ধে গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সাথে জড়িত কর্তৃপক্ষকে অগ্রাধিকার দিয়ে ইহুদিবাদী এবং আমেরিকার অপরাধী নেতাদের বিচার ও শাস্তির জন্য একটি আন্তর্জাতিক আদালত প্রতিষ্ঠা করা।
৭. বৈঠকে উপস্থিত মুসলিম দেশগুলোর অংশগ্রহণে গাজা পুনর্গঠনের জন্য অবিলম্বে একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা জরুরি।
৮. মুসলিম দেশগুলো থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য মানবিক সাহায্য বহনকারী কনভয় পাঠানো।
৯. আহলি আল-আরব হাসপাতালে ইসরাইলিদের অপরাধ ও বোমা হামলার দিনটিকে ‘গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দিবস’ হিসেবে নামকরণ করা।
১০. এই অসম যুদ্ধে ইহুদিবাদী এবং আমেরিকার যুদ্ধাপরাধ অব্যাহত থাকলে মুসলিম দেশগুলোর উচিত ফিলিস্তিনি জনগণকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে দখলদারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে উৎসাহিত করা।