সব ভালোরই শেষ হয়। একসময় সবকিছুকে থেমে যেতে হয়। গল্পের শুরু হলে সমাপ্তি টানতেই হয়। এবার শেষ হতে চলেছে একজন শিল্পীর শিল্পকর্ম, যিনি পায়ের জাদুতে শৈল্পিক ফুটবলকে আরও শিল্পিত করে তুলেছেন। চোখের সামনেই হয়তো ভেসে উঠছে একটা নাম। হ্যাঁ লিওনেল আন্দ্রেস মেসির কথাই বলছি।
মেসির বিশ্বকাপ গল্প শুরু হয়েছে সেই ২০০৬ সালে। মাত্র ১৮ বছর বয়সে ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চে পা রেখেছিলেন মেসি। তার বয়স এখন ৩৫। খেলছেন ৫টি বিশ্বকাপ। দুইবার দলকে ফাইনালে পৌঁছে দিলেন।
এখনো দুর্দান্ত মেসি। তার গোলতো বটেই, অ্যাসিস্টও চোখের শান্তি নামায়। এবারের বিশ্বকাপে চার ম্যাচেই হয়েছেন ম্যাচসেরা। এমন উড়ন্ত মেসি যেতে চাইলেও এখনই আর্জেন্টিনা দল যেতে দিচ্ছে না নিশ্চিত। তবে আগামী বিশ্বকাপের ব্যাপারে পরিস্কার বার্তা দিয়েছেন মেসি।
পরের বিশ্বকাপের আসর বসবে ২০২৬ সালে। তখন মেসির বয়স হবে ৩৯ বছর। এই বয়সে বিশ্বকাপ আর খেলতে চান না আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।
সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করার পর এক বিবৃতিতে আর্জেন্টিনা খেলোয়াড় নিশ্চিত করেছেন, রোববার কাতারে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ বিশ্বকাপের আসরে তার শেষ ম্যাচ।
মেসির বয়স ৩৫ বছর হতে পারে কিন্তু তিনি মনে করেন তার এখনো সামর্থ্য আছে। মেসির দুর্দান্ত ফর্ম দেখে অনেকেই আশা করেছিলেন, সামনের বিশ্বকাপেও হয়তো দেখা যাবে জাদুকরের পায়ের জাদু।
তবে ফাইনাল নিশ্চিত করার পর মেসিও পরিস্কার করলেন তার অবস্থান।
মেসি বলেন, “ফাইনালে পৌঁছাতে পেরে আমি খুব খুশি। এবারের ফাইনাল আমার শেষ ম্যাচ। এই ম্যাচ খেলে বিশ্বকাপ ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই। এই বিশ্বকাপ আমি তুমুল উত্তেজনার দেখছি। পরের বিশ্বকাপ আসতে এখনো অনেক দেরি। আমার মনে হয় না আমি সেই আসরে খেলতে পারব। এভাবে শেষ করাটাই সেরা সিদ্ধান্ত হবে।”
মেসি অনেকের চোখে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ। ফুটবল ক্যারিয়ারে অর্জন ও স্বীকৃতিতে তার বাকি নেই কিছুই। আক্ষেপ কেবল বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফিতে চুমু খাওয়া। তিনি যদি আর্জেন্টিনার জার্সিতে আর একটা তারকা যুক্ত করতে পারেন-তার ফুটবল ক্যারিয়ার নিন্দুকের চোখেও পূর্ণতা পাবে।