নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়ে বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান।
নৌকার প্রার্থী বলেছেন, “নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। কিছু কিছু ক্রটি ছিল, ইভিএমের কারণে, অনেকে ভোট দিতে পারেনি। আমার রেজাল্ট যা হয়েছে, আমি রেজাল্ট মেনে নিয়েছি। “এবং যিনি বিজয়ী হয়েছেন আমি তাকে অভিনন্দন জানাই।”
শুক্রবার দিনভর গাজীপুর সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিমের ভোট গ্রহণের পর রাতে ফলাফল দেয় নির্বাচন কমিশন। বেসরকারি ফলাফলে আজমত উল্লা খান স্বতন্ত্র প্রার্থী টেবিল ঘড়ি প্রতীকের জায়েদা খাতুনের কাছে ১৬ হাজার ভোটে পরাজিত হন।
জায়েদা খাতুন সিটির বরখাস্ত মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমের মা। জাহাঙ্গীর নিজেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। দলীয় সমর্থন না পেয়ে ‘বিদ্রোহী’ হলেও ‘ঋণখেলাপী প্রতিষ্ঠানের’ জামিনদার হওয়ায় প্রার্থিতা টিকেনি। পরে মায়ের ‘ছায়াসঙ্গী’ হয়ে নির্বাচনে প্রচার চালিয়ে টেবিল ঘড়ির বিজয় নিশ্চিত করেন।
জায়েদা খাতুন বিজয়ী হওয়ার পর তার ছেলে জাহাঙ্গীর এক প্রতিক্রিয়ায় সিটি করপোরেশনের কাজকে ভালভাবে এগিয়ে নিতে আজমত উল্লা খানের সহযোগিতা চেয়েছেন।
জাহাঙ্গীরের সহযোগিতার ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলেন, “যদি চায় এটা তো তার ব্যাপার। দেখা যাক, উনি কী ধরনের সহযোগিতা চান।”
নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আজমত উল্লা খান বলেন, “আমি যেহেতু দলীয় প্রার্থী ছিলাম; দলীয় কিছু বিষয় আছে। একটু চুলচেরা বিশ্লেষণ করে, এটা বসে আমরা পর্যালোচনা করব। পর্যালোচনার পর আমি আমার মতামত দেব।”
এ সময় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রশ্নও রাখেন, “আমি আগেও বলেছি যে, যেটা প্রপাগান্ডা ছিল; আমি নির্বাচনের রায় মেনে নিয়েছি। এটা যদি অন্য কারও বিপক্ষে যেতেন তিনি কি মেনে নিতেন?
“এখন তিনি (জাহাঙ্গীর) বলবেন, সুষ্ঠু। কিন্তু আমি একটা নীতি অনুসরণ করে চলি। আমি একটা নৈতিকতা মনে চলি। সুতরাং নির্বাচন আমার বিপক্ষে গেলেই আমি এর বিপক্ষে বলব এটা সঠিক না। এ থেকে দেশবাসীকে বেরিয়ে আসতে হবে”, যোগ করেন নৌকার প্রার্থী।