গ্রাহক হয়রানি বন্ধ করতে ও ডিজিটাল মিটারের পরিবর্তে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে্ন নগরীর ৫ ও ১৭ নং ওয়ার্ডের কলবাখানী ও উত্তর কাজীটুলা এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (০৫ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর উত্তর কাজিটুলা জামে মসজিদের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করে গ্রাহকদের হয়রানি করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা গ্রাহকদের সেবা না দিয়ে উল্টো প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের মাধ্যমে লুটপাট শুরু করেছে। বর্তমানে প্রি-পেইড মিটারে আগের মিটারের চেয়ে প্রায় আড়াইগুণ বেশি বিল আসছে। এছাড়া মিটার ভাড়াও বেড়েছে। বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ থাকলেও মিটার থেকে টাকা কাটা হয়। তাছাড়া একাধিকবার কার্ড ক্রয়ের ঝামেলা পোহাতে হয় এবং হঠাৎ মিটার লক হয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এই প্রিপেইড মিটারের লক লাগলে বারবার বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের কাছে ধরনা দিয়েও সমাধান হয় না। লক খোলার জন্য বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যান আনলে তাদেরকে ৩-৪ হাজার টাকা দিতে হয়।’
অবিলম্বে এই অযৌক্তিক প্রি পেইড মিটার ও গ্রাহকদের হয়রানি বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানান বক্তারা। হয়রানি বন্ধ না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সুরমা বয়েজ ক্লাবের সিনিয়র সদস্য আব্দুল আহাদ এলিছ এর সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার হোসেন এর পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও গ্যাস বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মকসুদ হোসেন, উত্তর কাজিটুলা এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বি শাহিন আহমদ, রোটারিয়ান মোহাম্মদ সাবের চৌধুরী, সুরমা বয়েজ ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি গোপাল বাহাদুর, দৈনিক একাত্তরের কথা’র বার্তা সম্পাদক সাংবাদিক মিসবাহ উদ্দিন আহমদ, জুম্মান খান কানু, মাসুক আহমদ, মির্জা আলম, জাকারিয়া রিফাত আহমদ, রাহাত আহমদ, মো. শফিক, রিফাত আহমদ, শের ইসলাম, মির্জা সাকিব, আব্দুল কাইয়ুম বাবলু, শামীম আহমদ, আশরাফ, তুহিন আহমদ, মুমিন প্রমুখ।
এছাড়াও কলবাখানী ও উত্তর কাজীটুলা এলাকার মুরুব্বী ও যুব সমাজ উপস্থিত ছিলেন।