প্রাণিসম্পদ খাতে বছরে আয় ৪৬ হাজার কোটি টাকা

দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে প্রাণিসম্পদ খাত। এ খাত থেকে বছরে ৪৬ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা আয় করছে সরকার। আর শুধু চামড়া বিক্রি করে বছরে ১.১ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। এছাড়া মাংসজাতসহ এই খাতের অন্যান্য দ্রব্য থেকে সরকার বছরে আরও ২ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা আয় করে।

এমন তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিলেট নগরীর একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাত: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক বিভাগীয় মিডিয়া ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব তথ্য জানান।

এসময় তিনি বলেন, ব্যাপক সম্ভাবনাময় প্রাণিসম্পদ খাতকে আরও উন্নত করতে সরকার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ ও বিনিয়োগ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই খাতের সব চাহিদা দেশে উৎপাদিত পণ্য দিয়েই পূরণ করার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। এ খাতে আরও উন্নয়নের জন্য সরকার প্রতি বছর ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে।

ড. মোমেন বলেন, গণমাধ্যম ছাড়া চলা সম্ভব নয়। তবে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের আরও সচেতন হবে। সত্য তথ্য প্রকাশ করলে জাতি উপকৃত হবে। প্রাণিসম্পদ খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয়টি সত্য তথ্যের ভিত্তিতে মিডিয়ায় তুলে ধরলে এ খাতের সমস্যা দূর হবে এবং একজনের সফলতা দেখে আরও ১০ জন অনুপ্রাণিত হবেন। দেশের অর্থনীতিতে প্রাণিসম্পদ খাত অনেক অবদান রাখছে। এ বিষয়টি মানুষকে সংবাদমাধ্যমের দ্বারা জানাতে হবে। যাতে এ খাতে বিনিয়োগে মানুষ আরও উৎসাহী হন।

মন্ত্রী বলেন- ‘প্রাণিসম্পদের স্বার্থে আমরা মিথেন গ্যাস কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২০২৫ সালের মধ্যে আমরা এসডিজিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবো।’

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক রবি কিরণ সিংহ (মাইস্লাম রাজেশ)-এর পরিচালনায় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি)-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এনামুল হাবীব, বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মনজুরুল আহসান বুলবুল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মারুফ হাসান, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী, এলডিডিপি’র কমিউনিকেশন কনসালটেন্ট জিল্লুর রহমান এবং ‘পরিপ্রেক্ষিত’র পরিচালক সৈয়দ বুরহান কবীর।

কর্মশালায় সিলেট বিভাগের চার জেলার প্রায় অর্ধশত সাংবাদিক এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জেলা-উপজেলা কার্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান ও বিশেষ অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। দিনব্যাপী কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের সনদপত্র প্রদান করা হয়।