বিশ্ব ব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সিলেটে অতিবৃষ্টি, তীব্র তাপদাহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত, বন্যা, খরা এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে সবাইকে ধৈর্য ও সাহসের সাথে মোকাবিলা করার আহ্বান জানান সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সিসিক মেয়র বলেন, শনিবার রাতের অল্প সময়ে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টির ফলে সাময়িক দুর্ভোগ হয়েছে নগরবাসীর। এমন পরিস্থিতির আগাম সতর্ক বার্তা পাওয়া যায়নি। তবে, আবহাওয়া অফিসের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি এমাসেই বেশি ঘনত্বের বৃষ্টিপাতের আরো সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আমরা আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করেছি।
রোববার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় নগর ভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিসিক মেয়র এসব কথা বলেন। এমন অজানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সিসিক উদ্যোগ নেবে বলেও জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় শনিবার রাতের রেকর্ড বৃষ্টিপাতের বর্ণনা দেন সিলেটের আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী। তিনি বলেন, রাত ১১ টা ২ মিনিট থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। রাত ১২ টায় অর্থাৎ মাত্র ৫৮ মিনিটে ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। ঐদিন ভোর ৬ টা পর্যন্ত ১৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। যা সাম্প্রতিক সময়ে কম সময়ে বেশি পরিমাণ বৃষ্টির রেকর্ড। মাত্র ৬ ঘন্টা ৫৮ মিনিট সময়ে ১৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড অতি প্রাকৃতিক বিষয় বলেও তিনি জানান।
কম সময়ে এতোবেশি পরিমাণ বৃষ্টিপাতের ফলে সাময়িক জলাবদ্ধতা ও আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত জরুরী মত বিনিময় সভায় এই আবহাওয়াবিদ বলেন, বিশ্ব ব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে চলতি বছরের এমন ঘটনা আরো ঘটতে পারে।
সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় সিলেটের সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ, দপ্তর সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- সিসিক কাউন্সিলর মোহাম্মদ তৌফিক বকস, কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, কাউন্সিলর মো. ছয়ফুল আমীন, কাউন্সিলর রকিবুল ইসলাম ঝলক, কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ, কাউন্সিলর সিকন্দর আলী, কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, কাউন্সিলর এম এম শওকত আমীন তৌহিদ, কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, শাবিপ্রবি’র অধ্যাপক ড. মো. জহির বিন আলম, সিসিকের সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইনামুল কবীর, জালালাবাদ গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোয়েব আহমেদ মতিন, আইইবি সিলেটের চেয়ারম্যান মো. জয়নাল ইসলাম চৌধুরী, সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পিডিবি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফজলুল করীম, নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ, আওবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী, পাউবো’র উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা, বিটিসিএল সিলেটের উপ মহাব্যবস্থাপক মিহির রায়, ব্যবস্থাপক-২ মো. আব্দুল মান্নান, গ্রহায়ণ কর্তৃপক্ষ সিলেটের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী বাদল কুমার মন্ডল, পিডিএসডিপি’র কনসালটেন্ট মো. কাইয়ূম হোসেন, সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামছুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস ছোবহান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হানিফুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী জয়েদেব বিশ্বাস, আরবান প্লানার মো. তানভীর রহমান মোল্লা, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ, প্রকৌশলী রাজি উদ্দিন খান প্রমুখ।