দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের চৌমুনা ও গোয়ারাই গ্রামের ৪ একর এগারো শতক ভুমি প্রভাবশালীদের নামে বন্দোবস্ত হওয়ায়, সেই বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য সহকারী কমিশনার ভূমি ও জেলাপ্রশাসক বরাবর গণ স্বাক্ষরে একটি লিখিত আবেদন করেন এলাকাবাসী।
আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে মঙ্গলপুর তহশিল অফিসের তহসিলদার মো. মহসীন আলী ঐ সরকারী খাস ভুমি পরিদর্শন করেন। একই দিনে এলাকাবাসীর এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় এলাকাবাসী বলেন, অত্র কয়েক গ্রামের কিশোর-যুবক ঐ সরকারী খাস জায়গায় খেলার মাঠ হিসেবে ব্যাবহার করে আসছে। গত দুই বছর আগে খাস জায়গায় নদী খননের মাটি ফেলে নিচু মাঠ ভরাট করা হয়। হঠাৎ করে কিছু কাগজ নিয়া আসেন একই এলাকার প্রভাবশালী চৌমুনা গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র আব্দুল মছব্বির, একই গ্রামের মৃত রজিব উল্লাহর পুত্র তজিজুর রহমানসহ কয়েকজন।
এতে এলাকাবাসী বাধা দিলে শুরু হয় বিপত্তি। এরপর এলাকাবাসীকে আব্দুল মছব্বির জানান এই জমি তার নামে বন্দোবস্ত দিয়েছে সরকার।
এ বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য সহকারী কমিশনার ভূমি ও জেলাপ্রশাসক বরাবর গণ স্বাক্ষরে একটি লিখিত আবেদন করেন এলাকাবাসী।
বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে চৌমুনা গ্রামের সামনে ছাতক সুনামগঞ্জ সড়কের পাশে বিরোধপূর্ণ ভূমিতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- দোহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শামীমুল ইসলাম শামিম, দোহালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার মিয়া আনু, আওয়ামী লীগ নেতা সফিকুল ইসলাম বাবুল, আইনুদ্দিন, মো. ফয়েজ মিয়া, ইছবর আলী, আব্দুল ছাব্বির, নুরুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন, সফিকুর রহমান তালুকদার, হাজী সালাউদ্দিন, আরব আলী,আমির আলী, বুরহান, আলতাব আলী, পরিতোষ নাথ প্রমূখ।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, এই বন্দোবস্ত বাতিল করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, নদী ভাঙ্গা পরিবার, বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্তা পরিবার, কৃষি জমি ও বাস্তুভিটাহীন পরিবার, জমি অধিগ্রহণের ফলে ভুমিহীন হয়েছে এমন পরিবার ও বসতবাড়ি ও কৃষি জমি নাই কিন্তু পরিবারটি কৃষি নির্ভর এ শ্রেণির ব্যাক্তিবর্গকেই বন্দোবস্ত দেয়া হোক।
এব্যাপারে জানতে চাইলে মঙ্গলপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার মো. মহসীন আলী বলেন, ১৯৮৯ সালে বন্দোবস্ত নেওয়া হলেও এপর্যন্ত জমিতে কারুর দখল নেই। সরকার জমি বন্দোবস্ত দেয় আবাদ করার জন্য সেই জমি অনাবাদি থাকার জন্য নয়। এখন উর্ধতন কতৃপক্ষের সিদ্ধান্ত কি নেয় তা আমার জানা নেই।