স্নাতকে রেকর্ড নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়া সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) বিভিন্ন অনুষদের ৬ জন শিক্ষার্থী ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক ২০১৯’ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান।
এর আগে গত রোববার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন ডিভিশনের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক ২০১৯-এর জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৮ জন শিক্ষার্থীর প্রাথমিকভাবে মনোনীত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক প্রবর্তিত ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক ২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানের নিমিত্তে কমিশনের বিদ্যমান প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক প্রদান সংক্রান্ত নীতিমালার আলোকে নির্ধারিত ফরমে শিক্ষার্থী মনোনয়নের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ হতে প্রাপ্ত মনোনীত প্রার্থীদের আবেদন যাচাইবাছাই পূর্বক কমিশন কর্তৃপক্ষ ১৭৮ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করেছে।
স্বর্ণপদক পাওয়া সিকৃবির ছয় শিক্ষার্থী হলেন- ভেটেরিনারি এনিমেল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের হিমেল তালুকদার (৩.৮৪৯), কৃষি অনুষদের কাজী সানজিদা বেগম (৩.৯৭৪), মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের আমানি বেগম (৩.৯৪৩), কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের নুসরাত জাহান (৩.৮৭৮), কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের আফরোজা কবির লাকি (৩.৮৯৬) এবং বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ইবতিদা তাবাসসুম ইসমাম (৩.৮৭৭)।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনই মেয়ে। আসলে মেয়েরা ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল করছে।
পড়াশোনায় কম সময় ব্যয় করায় ছেলেরা তুলনামূলক পিছিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পড়াশোনায় সময় দিলে সবারই ভালো ফলাফল করার সুযোগ রয়েছে। আশা করি স্বর্ণপদকজয়ী এই ছয়জনের সাফল্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হয়ে পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হবে। পাশাপাশি প্রত্যাশা করছি, প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকজয়ী শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাবে।