প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চান : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জনগণের মঙ্গলের জন্য শেখ হাসিনা সবসময় অগ্রসর। দেশের স্বল্প আয়ের মানুষের মুখে হাসি ফুটুক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটাই চান।

তিনি বলেন, সিলেট-ঢাকা ৬ লেন হচ্ছে, হাসপাতালের ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। শহরেরও অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সিলেটে বিএনপিদলীয় মেয়র হলেও প্রধানমন্ত্রী তাকে টাকা দিচ্ছেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রী দল দেখেন না, তিনি দেশের মঙ্গল চান। এমনকি বিদেশিরাও প্রধানমন্ত্রীর সাফল্যে মুগ্ধ। তারাও বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগীতা করতে চান।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আবুল মাল ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সহযোগীতায় নগরীর দরিদ্র নারীদের মধ্যে শাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই আমি সিলেট থেকেই আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু করি। এই সিলেটকে একটা আদর্শ নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বিরোধী দলের মেয়র থাকার পরও সিলেট শহরের ব্যাপক উন্নয়ন তা প্রধানমন্ত্রীর মানবদরদি মনের বহিঃপ্রকাশ।’

সিলেট নগরীর আগামী প্রতিনিধি নির্বাচনে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি একজন করিৎকর্মা লোক। সুদূর লন্ডনে তিনি কাজ করে এসেছেন। সেখানে সব শ্রেণির মানুষের কাছে তিনি একজন সম্মানীত এবং কাজের মানুষ হিসেবে পরিচিত। আমি বিশ্বাস করি তার নেতৃত্বে সিলেট নগরীর সৌন্দর্য্য আরো বৃদ্ধি পাবে। সব সুবিধা নিয়ে এই নগরীর মানুষ বসবাস করতে পারবেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে আপনারা আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে এদেশের মানুষের সেবার সুযোগ দিবেন। আর আমরাও আমাদের এই পবিত্র নগরীকে আরো সুন্দর করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কাজ করতে কাজ করে যাচ্ছি। আপনাদের সাহায্য সহযোগিতা পেলে সেটা বাস্তবায়ন করবো। সিলেট নগরীর উন্নয়নে শত শত কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। কিন্তু মানুষ কাঙ্খিত উন্নয়ন পায়নি। ইনশাআল্লাহ আপনাদের পবিত্র আমানত এবং আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেলে সিলেট নগরীর কাঙ্খিত উন্নয়ন সাধন করবো।’

এসময় আনোরুজ্জামান চৌধুরী সিলেট নগরীকে গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি হিসেবে গড়ার অঙ্গীকার করেন।

আলোচনাপর্ব শেষে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সহযোগীতায় ৫ হাজার দরিদ্র নারীর হাতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের শাড়ি তুলে দেয়া হয়।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি সুজাত আলী রফিকের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট নিজাম উদ্দিন পিপি, সহ-সভাপতি ড. আহমদ আল কবির, এডভোকেট রাজ উদ্দিন, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিজিত চৌধুরী, সহ-সভাপতি জগদীশ চন্দ্র দাশ, যুগ্ম সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রনজিত সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মবশ্বির আলী, ইফতেখার হোসেন পিয়ার, জগলু চৌধুরী যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডেইজি সারোয়ার, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদাল মিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগে সদস্য ও সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহানা বেগম, সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরান, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. শাহজাহান আহমদ, জুমাদিন আহমদ, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামিম আহমদ ভিপি, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমদ, মহানগর যুবলীগর সভাপতি আলম খান মুক্তি, সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য সুসমা সুলতানা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ প্রমুখ।