যশোরে প্রধানমন্ত্রীর আগমন এবং জনসমাবেশ ঘিরে নিশ্চিত নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে প্রশাসন। জনসভাস্থলে পাঁচ স্তর এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে যশোর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর বলেন, ‘জনসভাস্থলে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। গোটা যশোর জেলার ৮ উপজেলা গোয়েন্দা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছে। বিভিন্ন স্তরে চৌকস অফিসার ও ফোর্স দায়িত্ব পালন করছেন।’
যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ রুপি সরকার বলেন, ‘জনসভা উপলক্ষে গোটা যশোর জেলাকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে আনা হয়েছে। শহরতলি থেকে শুরু করে গোটা এলাকায় প্রশিক্ষিত ফোর্স নিযুক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জন্য পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টনী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েক শ’ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কয়েকটি ডগ স্কোয়াড টিমও কাজ করছে। পাঁচ স্তরের বাইরেও গুগল ও স্যাটেলাইট সহায়তা নিয়েও নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা জুড়ে রাস্তায় নিয়োজিত থাকছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।’
যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বলেছেন, ‘বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সমগ্র যশোর জেলা ইতোমধ্যেই নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে। এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। সাদা পোশাকেও অনেকে ডিউটিতে নিয়োজিত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসমাবেশে যদি কোনও পুলিশ সদস্য দায়িত্বে বিন্দুমাত্র অবহেলা করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ ডিউটিতে নিয়োজিত সব পুলিশ সদস্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।’
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই ডিউটিতে অবশ্যই উত্তম পোশাক পরিধান করবেন। যেহেতু বাংলাদেশ পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী, সুতরাং আমাদের প্রত্যেকেরই সেটা মেনে চলতে হবে।’