গোল উদযাপনে প্রতিটি দলেরই নিজস্ব স্টাইল থাকে। ব্রাজিলের সমর্থকরা গ্যালারি মাতাবেন সাম্বা নৃত্যে। মাঠে নেইমাররা গোল উদযাপন করবেন ভিন্ন আঙিকে। কাতার বিশ্বকাপে গোল উদযাপনের জন্য নাচের কয়েকটি স্টাইল আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। নতুন স্টাইল সঠিকভাবে প্রদর্শন করতে রীতিমতো অনুশীলনও করেছে সেলেকাওরা।
আসরে নিজেদের প্রথম ১০ গোল পর্যন্ত নাচের মুদ্রা অপরিবর্তিত রাখবেন কোচ তিতের শিষ্যরা। একটি ম্যাচে একটি নাচের মুদ্রাতেই ভক্ত-সমর্থকদের আনন্দে মাতাবেন, তা নয়। প্রতিটি গোলের পরে আলাদা স্টাইলে নেচে উদযাপন করতে চান নেইমার।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) টুর্নামেন্টে গ্রুপ ‘জি’র লড়াইয়ে ব্রাজিল নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে সার্বিয়ার বিপক্ষে। হেক্সার মিশনে ব্রাজিলকে আসরের হট ফেভারিট ভাবা হচ্ছে। বিশ্বকাপ লড়াইয়ে নামার আগেই উত্তেজনার শিহরণ বয়ে যাচ্ছে সেলেকাও ফুটবলারদের শিরদাঁড়ায়। আসরে গ্রুপ ‘জি’তে ব্রাজিলের অপর দুই প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুন।
গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ব্রাজিল ফরোয়ার্ড রাফিনহা বলেন, ‘আপনাদের সত্যিই বলছি, ১০ গোল পর্যন্ত নিজস্ব স্টাইলের নাচে উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। প্রতিটি ম্যাচের জন্য আমরা নাচের ১০টি মুদ্রা নির্ধারণ করেছি। প্রথম গোলের জন্য এক রকম মুদ্রা, দ্বিতীয়টির জন্য অন্য রকম মুদ্রা এভাবে তৃতীয়, চতুর্থ ভিন্ন ভিন্ন মুদ্রায় নেচে উদযাপন করবে ব্রাজিল। তবে কোনো ম্যাচে যদি আমরা ১০টির বেশি গোল করে ফেলি, তাহলে নাচের নতুন কোনো মুদ্রা উদ্ভাবনের বিষয়ে ভাবতে হবে।’
বিশ্বকাপে দুই দশকের শিরোপা খরার অবসান ঘটাতে এবার আক্রমণভাগে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই কাতার আসরের দল সাজিয়েছেন কোচ তিতে। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে ব্রাজিলের স্কোয়াডেই আক্রমণভাগে সর্বোচ্চ ৯ জন ফুটবলার রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নেইমার, রাফিনহা ছাড়াও রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র রয়েছেন। যিনি ক্লাবের হয়ে গোল করার পর নিজস্ব স্টাইলে নেচে
উদযাপন করায় বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন। সমালোচনা সত্ত্বেও ব্রাজিলের রদ্রিগোকে নিয়ে রিয়ালে নিজস্ব ধাঁচের গোল উদযাপন অব্যাহত রেখেছিলেন ভিনিসিয়ুস। জাতীয় দলের হয়েও বিশ্বকাপে এভাবে গোল উদযাপনের কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা। স্পেনে সমালোচনার সে সময়ে ভিনিসিয়ুস ও রদ্রিগোকে প্রকাশ্য সমর্থন জানিয়েছিলেন তাঁদের ব্রাজিল সতীর্থ নেইমার ও রাফিনহা।