সর্বজনীন পেনশন স্কিমকে (প্রত্যয়) বৈষম্যমূলক দাবি করে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এর আগে প্রচলিত সরকারি পেনশনে থাকার দাবিতে সোমবার (১ জুলাই) থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এই কর্মবিরতির কারণে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সহ ৫৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, পরীক্ষা, প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ সব ধরণের অ্যাকাডেমিক কাজ অচল হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সামনে অনুষ্ঠিত কর্মবিরতি পালন অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আল মামুনের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এদিকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালার প্রজ্ঞাপন হতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অন্তর্ভুক্তি অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার পরিষদের উদ্যোগে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
অফিসার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. আফরাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি মোহাম্মদ ছায়াদ মিয়ার সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে অফিসার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী পরিষদের উদ্যোগে সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি মো. শরীফ হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সম্মুখে কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী যারা প্রত্যয় স্কিম তৈরি করলেন তারা কেন এর বাইরে থাকলেন? তাদের জন্য কেন সেবক স্কিম? স্বাধীন দেশে সকল সরকারি কর্মচারীদের একই পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’