অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহবানে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করা হয়।
কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সামনে অনুষ্ঠিত কর্মবিরতি পালন অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. মুহাম্মদ আল মামুনের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছফিউল্লাহ ভূইয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, প্রফেসর ড. মাসুদ আলম, প্রফেসর ড. মো. মোহন মিয়া,প্রফেসর ড. মো. শারফ উদ্দিন, প্রফেসর ড. নির্মল চন্দ্র রায়, প্রফেসর ড. সোহল মিঞা, প্রফেসর ড. মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, আগামী ১লা জুলাই থেকে যোগদানকৃতদের সর্বজনিন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভূক্ত করার যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে তা বৈষম্যমূলক। এ ধরনের বৈষম্য বাংলাদেশের সংবিধানের মূল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। প্রত্যয় স্কিমের নামে সর্বজনিন হলেও আসলে সর্বজনিন নয়। সরকারের ৩টি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্র ও বিচার বিভাগকে এই প্রক্রিয়ার বাহিরে রেখে একে সর্বজনিন বলার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য যে প্রত্যয় স্কিম আরোপ করা হয়েছে তা তাদের পারিবারিক সুরক্ষা নষ্ঠ করবে। এ প্রত্যয় স্কিমের ফলে মেধাবীরা আর শিক্ষকতা পেশায় আসতে আগ্রহী হবে না।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. ছফিউল্লাহ ভূইয়া বলেন, প্রত্যয় স্কিম হল জাতিকে মেধাশুন্য করার একটা গভীর ষড়যন্ত্র। মেধাশুন্য জাতিকে দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া যাবেনা।
বক্তারা আরও বলেন, জাতিকে সুপরিকল্পিতভাবে মেধাশুন্য করার পায়তারা চলছে । প্রত্যয় স্কিম বাস্তবায়িত হলে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হবে। জাতির পিতা বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে স্বায়ত্বশাসন দিয়েছিলেন এই কারণে যে তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে সোনার বাংলা নির্মাণ করা সম্ভব হবে।