আজ পহেলা ফাল্গুন, বইছে বসন্তের সুবাতাস। ৩৩ বছর আগের আজকের এই দিনে দেশের জন্য ছিল একটি অন্যতম অর্জন। দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উচ্চ শিক্ষালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল এ দিনে।
সেই থেকে গৌরব-ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে ৩৪ বছরে পদার্পণ করল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা, গবেষণা আর উদ্ভাবনে রয়েছে সাফল্য-সংকট ও সম্ভাবনা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালের পহেলা ফাল্গুন তিনটি বিভাগ ও ২০৫ জন শিক্ষার্থী এবং ১৩ জন শিক্ষক নিয়ে যাত্রা শুরু করে শাবিপ্রবি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাতটি অনুষদের অধীনে ২৮টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউট মিলিয়ে ১০ হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন। দীর্ঘ এ পথচলায় বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেই চলেছেন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যার সুনাম এখন বিশ্বব্যাপী।
উদ্ভাবন ও গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড পুরস্কার-১৭’, ২০১৮ সালে ‘নাসা স্পেস চ্যালেঞ্জ অ্যাপস’ অংশ নিয়ে বেস্ট ডাটা ইউটিলাইজেশন ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, প্রযুক্তি খাতে অবদানের জন্য ‘ডিজিটাল ক্যাম্পাস অ্যাওয়ার্ড-২০ অর্জন রয়েছে। অনেক কিছুর প্রথম এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জনের ঝুলি আরও ভরপুর।
শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে। সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এখন দৃশ্যমান। চলতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন খ্যাতিসম্পন্ন জার্নালে চার শতাধিক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। আশা করি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ বিশ্ববিদ্যালয় অনেকদূর এগিয়ে যাবে।’