বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হলো সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ২০০৬ সালে ২ নভেম্বর সিলেট সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ থেকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি।
দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয় ক্যাম্পাসকে। বুধবার (২ নভেম্বর) ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আয়োজনে বেলুন ও সাদা পায়রা উড্ডয়নের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (অতিরিক্ত দায়িত্ব)।
এর আগে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে প্রশাসনিক ভবন থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি মাদানি প্রদক্ষিণ করে আবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আসে। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটার মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রমের সমাপ্তি হয়।
১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান খান বলেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনালগ্ন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি কৃষি শিক্ষা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ফ্ল্যাগশিপ বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠার ম্যান্ডেট পেয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য, আমরা ক্রমাগত স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে সরকার, সম্প্রদায় এবং সহযোগী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্বে কাজ করছি। বিশ্ববিদ্যালয় যে গতিতে এগুচ্ছে তা অভাবনীয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সফল, সার্থক ও উৎসবের হোক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, ডিন কাউন্সিলরের আহ্বায়ক, অনুষদীয় ডিন, শিক্ষকবৃন্দ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কর্মকতা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব বলেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার চর্চা হয়। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গবেষকের তালিকায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২-২৩ জন শিক্ষক গবেষক স্থান করে নিয়েছেন। উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসটি আমাদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ও গৌরবের।
এছাড়া বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. তরিকুল ইসলাম এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোস্তফা শামসুজ্জামান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সবার জন্য রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে অংশগ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ ‘অ্যাশেজ’ ব্যান্ড দল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঘিরে যাতে কোনোরকম বিশৃঙ্খলা না হয়, সেজন্য কঠোর নিরাপত্তা দেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সিকৃবির ৭টি অনুষদে মোট ৪৭টি বিভাগে একাডেমিক কার্যক্রম চলছে এবং প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি লেভেলে অধ্যয়ন করছেন।