সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী যাদুকাটা ও মাহারাম নদীতে ড্রেজার আগ্রাসন-পাড় কেটে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙন হুমকিতে পড়েছে নদীতীরবর্তী বসতভিটাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, বিপর্যয়ের মুখে যাদুকাটা নদীর প্রতিবেশ-প্রকৃতি।
যাদুকাটা নদীর প্রতিবেশ রক্ষায় তাই কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় সাংসদ ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামীলীগ নেতারা।
শুক্রবার (২১জুলাই) বেলা ৫টায় যাদুকাটা নদীর বড়টেক, শিমুলবাগান ও মাহারাম নদীর মুখ পরিদর্শন শেষে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে মতবিনিময়কালে তারা এই আহবান জানান।
এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, যাদুকাটার প্রতিবেশ-প্রকৃতি আজ হুমকির মুখে। অচিরেই ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন ও নদীর পাড় কাটা বন্ধ না হলে হাওরের বুরো ফসল আগাম বন্যার হুমকিতে পড়বে। এ অবস্থার নিরসনে প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমরা আশাবাদী।
উপজেলা আওয়ামীলগের সভাপতি আবুল হোসেন খান বলেন, যাদুকাটাকে বাঁচাতে ড্রেজার ও নদীর পাড় কাটা বন্ধ করা সময়ের দাবি। এক্ষেত্রে প্রশাসনের আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখার প্রয়োজনবোধ করছি। তাছাড়া মুষ্টিমেয় কিছু লোকের এসব অপকর্মের জন্য এলাকায় সরকারের উন্নয়ন ও ভাবমূর্তিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামের গুটিকয়েক লোকজন ড্রেজার ও পাড় কেটে বালু উত্তোলনের কাজে জড়িত। ফলে এ অঞ্চলের প্রতিবেশ-প্রকৃতি আজ হুমকির মুখে পড়েছে।
বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন বলেন, গত মেয়াদে নদীর পাড় কাটা ও ড্রেজার বন্ধে আমরা ইজারাদারা নিজস্ব লোকবল নিয়োগ করে এসব অপকর্ম বন্ধ রেখেছিলাম। বর্তমান ইজারাদাররা এক্ষেত্রে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখলে নদীতে এসব অপকর্ম কমে আসবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগম, আওয়ামীগের সাধারন সম্পাদক অমল কর, বড়দল দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ আলী, বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন, বড়দল উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, লাউড়েরগড় আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আবু সুফিয়ান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশ্রাউল জামান ইমন প্রমুখ।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম