দখলদার ইসরাইলী বাহিনীর নৃশংস হামলায় প্রতিদিনই একটি বা উভয় পা হারাচ্ছে গাজার কোন না কোন শিশু। মঙ্গলবার (২৫ জুন) জেনেভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি জানান, প্রতিদিন গড়ে ১০ জন শিশু তাদের অঙ্গ হারাচ্ছে।
এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানায় ।
ইউনিসেফের এক পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে লাজারনি বলেন, আমি যে সংখ্যাটি বলছি এটি শুধু পা হারানোর। এর বাইরেও বাহু এবং হাত হারানোর মতো এমন আরও অনেক ঘটনা রয়েছে। গড়ে ‘প্রতিদিন দশটি শিশু মানে নৃশংস এই যুদ্ধের ২৬০ দিনেরও বেশি সময় পর প্রায় ২ হাজার শিশু পঙ্গু হয়েছে।
সেভ দ্য চিলড্রেনের এক প্রতিবেদনের বরাতে তিনি বলেন, গাজায় চলমান যুদ্ধে ২১ হাজারের মতো শিশু নিখোঁজ আছে।নিখোঁজ শিশুদের মধ্যে অন্তত ১৭ হাজারের কোনো সঙ্গী নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর প্রায় ৪ হাজার শিশু ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গণকবরে ঠাঁই হওয়া শিশুর সংখ্যা কত তা জানা যায়নি। এদিকে, জাতিসংঘের এক নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় গত সপ্তাহে না খেতে পেরে চারজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে অভিযানের নামে গত ৮ মাসে কমপক্ষে ৩৭ হাজার ৬৫৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৬ হাজার ২৩৭ জন। বিশ্বব্যাপী তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ চলে আসলেও ইসরাইলী বাহিনী তাদের বর্বরতা বন্ধ করেনি।