সিলেট জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে শারদীয় দুর্গাপূজা চলাকালীন পূজামণ্ডপ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ, র্যাব, আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থা মোতায়েন থাকবে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা সদরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষও স্থাপন করা হবে। এছাড়াও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি পূজা মণ্ডপগুলোও সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা পালনের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রস্তুতি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।
এসময় ভাঙ্গা রাস্তা সংস্কার ও মেরামতের উদ্যোগ নেয়া গ্রহণের পাশাপাশি যানজট নিরশনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, আসন্ন পূজাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে। সেই সাথে প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি মাঠে কাজ করবে সাদা পোশাকের পুলিশ। কেউ কোন বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাঠ পর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম নজরদারি করবেন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত, সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জ্যোর্তিময় সরকার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় দে ভোলা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট জেলার সভাপতি প্রদীর কুমার ভট্টাচার্য্য, সিলেট জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি গোপিকা শ্যাম পুরকায়স্থ, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুব্রত দেব, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রজত কান্তি ভট্টাচার্য, সিলেট জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন ঘোষ, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া সভায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।