যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় বুধবার দক্ষিণের উপকূল লক্ষ্য করে বিভিন্ন ধরনের ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। যেগুলোর মধ্যে অন্তত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূল থেকে ৬০ কিলোমিটারের কম দূরে অবতরণ করেছে। ১৯৫৩ সালে কোরিয়ান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর প্রথমবারের মতো এটি ঘটেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় তিনটি ক্ষেপনাস্ত্র ছুড়েছে দক্ষিণ কোরিয়াও।
জলসীমার কাছে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে ‘খুব বিরল এবং অসহনীয়’ বলে বর্ণনা করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার সকালে উত্তর কোরিয়া পূর্ব ও পশ্চিম দিকে বিভিন্ন ধরনের অন্তত ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এরমধ্যে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমার কাছাকাছি এসে পড়েছে।
এর কয়েক ঘণ্টা পর এক বিবৃতি দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা দুই দেশের সামুদ্রিক সীমান্তের উত্তর দিকে সমুদ্রে তিনটি আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ (জেসিএস) বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর সীমারেখার ২৬ কিলোমিটার (১৬ মাইল) দক্ষিণে অবতরণ করেছে, যা দুই কোরিয়ার মধ্যে একটি অনানুষ্ঠানিক সামুদ্রিক সীমান্ত হিসাবে কাজ করে। স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি দক্ষিণ কোরিয়ার উলেংডোর দ্বীপের কাছে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দ্বীপটিতে আকাশপথে হামলার সতর্কতা জারি করা হয়। এর ফলে ক্ষুদ্র দ্বীপটির অধিবাসীরা নিকটস্থ ভূগর্ভস্থ নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যান।
চলতি সপ্তাহে কোরীয় উপদ্বীপের চারপাশে যৌথ সামরিক মহড়া চালানো বন্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে পিয়ংইয়ং সতর্ক করার এক দিন পর উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়া এখনও চলছে।
সূত্র: আলজাজিরা