পানির নিচে সুনামগঞ্জ, এক টুকরো শুকনো জায়গা নেই শহরজুড়ে

অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে সুনামগঞ্জ শহর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) ভোর থেকে পানি বাড়তে শুরু করে। ধীরে ধীরে তলিয়ে যায় শহরের সকল জায়গা। বর্তমানে এক টুকরো শুকনো জায়গা নেই শহরজুড়ে।

চারিদিকে শুধু পানি আর পানি। মানুষ যেভাবে পারছেন খোঁজে নিচ্ছেন নিরাপদ আশ্রয়স্থল। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্কুল কলেজে আশ্রয় নিয়েছেন বন্যাদূর্গতরা। এখনও বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন যাচ্ছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।

শহরের তেঘরিয়া, আরপিন নগর, কাজীর পয়েন্ট, ষোলঘর, হাসননগরসহ পুরো শহর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বন্যার্তদের আশ্রয় নেয়ার জন্য খুলে দেয়া হয়েছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে জেলার ১২ টি উপজেলা সামান্য কিছু স্থান বাদে সকল এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে সুনামঞ্জ জেলায় ২০২২ সালের মতো ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার পবিত্র ঈদ উল আযহার দিনে মূষলধারে বৃষ্টির কারণে কোথাও ঈদগাহে ঈদ জামাত পড়া সম্ভব হয়নি। সবাই পাড়ার মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন।

এদিকে, বন্যা আক্রান্তদের দেখতে শহর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল হুদা চপল।

পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সাথে চাল ডাল দেয়ার জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্র খোঁজছেন। পানিবন্দি সবাই আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গেলে ত্রাণ তৎপরতা শুরু করা হবে।

তিনি বলেন, বিকেলে মধ্যে সদর উপজেলার সকল আশ্রয়কেন্দ্রে খাদ্য সামগ্রী পৌছে যাবে। আমরা এখন গুরুত্ব দিচ্ছি যাতে মানুষ আগে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে যায়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, আপাতত আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নত না হলে পানি কমবে না। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।