সুনামগঞ্জে পানসি রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দুই স্বেচ্ছাসেবক। তারা বন্যাকবলিত সুনামগঞ্জ জেলায় মানবিক সহায়তা দিতে ত্রাণ নিয়ে এসেছিলেন। অসুস্থ দুই স্বেচ্ছাসেবক হলেন- এস এম মানবিক ফাউন্ডেশন ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা সবুর আহমেদ ও সদস্য নজরুল ইসলাম।
ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা যায়, ত্রাণ বিতরণ করতে ২৫ সদস্যের একটি দল গত তিনদিন ধরে সুনামগঞ্জে অবস্থান করছেন। সোমবার (২৭ জুন) সকালের দিকে তারা পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত পানসি রেস্টুরেন্টে গরুর মাংস দিয়ে ভাত খেতে যান। খাওয়ার একপর্যায়ে তাদের একজনের প্লেটে একটি চেলা পোকা পাওয়া যায়। এটি দেখে তারা সবাই বমি করতে থাকেন। একপর্যায়ে দুইজন বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অসুস্থ সবুর আহমেদ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ভালোভাবে খাওয়া-দাওয়া হয়নি। তাই আজ সকালে ভালো খাবারের আশায় পানসি রেস্টুরেন্টে যাই। খাবার খেতে খেতে একসময় প্লেটে অসংখ্য পাওয়ালা চেলা পোকা দেখতে পাই। পরে অসুস্থ হয়ে পড়ি।
এস এম মানবিক ফাউন্ডেশনের এই কর্ণধার বলেন, পানসির মতো একটি স্বনামধন্য রেস্টুরেন্টের এমন গাফিলতি মানায় না। এটি একটি বিষাক্ত পোকা, পেটে চলে গেলে যে কোনো কিছু ঘটতে পারে। দায়িত্বশীলদের আরও দায়িত্ববান হওয়ার অনুরোধ জানাই।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সৈকত দাস বলেন, খাবারে পোকা দেখার পর স্বাভাবিকভাবেই একটা অস্বস্তিকর ভাব চলে আসতে পারে। এটাকে আমরা ফুড পয়জনিং বলতে পারি। আমরা তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছি। তবে এখন তারা সুস্থ আছেন।
বিষয়টি স্বীকার করে পানসি রেস্টুরেন্ট সুনামগঞ্জের ম্যানেজার সোজাদ আহমেদ বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। আমরা কখনও চাই না আমাদের প্রতিষ্ঠানের দুর্নাম হোক। দুর্ঘটনা ঘটে গেলে সেটি ফেরাবার কোনো উপায় নেই। কিন্তু অসুস্থ ব্যক্তিদের আমরা নিজে উপস্থিত থেকে চিকিৎসা দিচ্ছি। আমরা তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে পরবর্তীতে এমন দুর্ঘটনা না ঘটার অঙ্গীকারও করেছি।