দিশারী প্রকল্প, পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল এর উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী ট্রেনিং অব ট্রেইনারস অন জেন্ডার ট্রান্সফরমেটিভ ট্রেনিং গতকাল ১৩ জুন মঙ্গলবার সকালে সিলেট নগরীর ধোপাদিঘিরপূর্ব পারস্থ একটি অভিজাত হোটেলের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সিলেট বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা অফিসের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোঃ কুতুব উদ্দিন।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস সিলেটে উপ-পরিচালক বিপ্লব বড়ুয়া, সহকারী পরিচালক তপন কান্তি ঘোষ, পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের দিশারী প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ আলমগীর হায়দার, সুখী জীবন প্রকল্পের রিজিওয়নাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার মিশাল পাল, রেজিলিয়েন্স অফিসার মরিয়ম জাহান সোনালী, এডোলিমেন্ট এন্ড ইয়ুথ কো-অর্ডিনেটর সুমন কুমার প্রমুখ। প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও বিশ্বানথ উপজেলার সকল মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসার, শিশু স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য কুতুব উদ্দিন বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি মোকবেলায় সবাইকে এক যোগে কাজ করতে হবে। দুর্যোগের সময় জেন্ডার বিষয় বিবেচনা করে সেবা নিশ্চিত ও গর্ভবতী মহিলা, কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিশারী প্রকল্প, পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল কাজ করছে। দুর্যোগ মোকবেলায় এই সংস্থার মত অন্যান্য সেবামূলক সংস্থাগুলোকে কাজ করার আহবান জানান।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারীদের স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ ব্যাহত করে। পাশাপাশি বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ক্রমশ দূর্বল করে তুলছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের উচ্চঝুঁকি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং এর অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, দরিদ্র্যতা, সম্পদের নায্য বন্টন ও ক্ষমতায়নে নারীর অংশগ্রহণের বাধা প্রদান, দূর্যোগকারীন সময়ে নারীর দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বিশেষ করে প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বক্তারা বলেন, বিশেষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়েন নারী ও কিশোরীরা। তাদেরকে ঝুঁকি থেকে মুক্ত করতে সবাইকে সচেতনতার সাথে কাজ করতে হবে।