বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে পাকিস্তানের পতাকা এক করে ফেসবুকে পোস্ট করার ক্ষেত্রে দেশটির ঢাকাস্থ দূতাবাসের কোনও ‘অসৎ উদ্দেশ্য নেই’ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
‘ডিএইচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলন’ উপলক্ষে রোববার (২৪ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ড. মোমেন এ কথা বলেন।
তবে দূতাবাসের ফেসবুক পেজের সেই পোস্টটি সরিয়ে নিতে আপত্তি জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের কোনও ধরনের অসৎ উদ্দেশ্য নেই। আমরা তাদের বলেছি যে, এখানে এটি বাদ দিলেই ভালো হয়। তবে পাকিস্তান হাইকমিশন বলছে যে, তাদের দেশের পতাকা এবং অন্য দেশের পতাকা একসঙ্গে মিলিয়ে তারা এ ধরনের ছবি তৈরি করে থাকে।’
গত ২১ জুলাই বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে পাকিস্তানের পতাকা জুড়ে দিয়ে ফেসবুক পেজে ওই পোস্ট করে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন। যা পরে তাদের ফেসবুকের কাভার পেজেও ব্যবহার করা হয়।
এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে হাইকমিশনকে বাংলাদেশের পতাকার ছবি নামিয়ে নিতে বলা হয়।
এর মধ্যে রোববার দুপুরে নিজেদের ফেসবুকের কাভার পেজ থেকে বাংলাদেশের পতাকা সরিয়ে নেয় পাকিস্তান হাইকমিশন।
আগামী ২৭ জুলাই বাংলাদেশে বসছে উন্নয়নশীল মুসলিম রাষ্ট্রের জোট ডি-৮ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। এই বৈঠক উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আটটি দেশের মধ্যে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলিত কাভাসগলু এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রাব্বানী খানের ঢাকায় আসা নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রায় ১০ বছর পরে পাকিস্তানের কোনও মন্ত্রী আসছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ববাজার পরিস্থিতিতে এ দেশগুলোর একমত হবার সুযোগ থাকছে ঢাকার সামনে।