পাকিস্তানের স্বপ্ন ভেঙে ষষ্ঠবারের মতো ক্রিকেটে এশিয়া সেরার মুকুট পরেছে দাশুন শানাকার শ্রীলঙ্কা। ম্যাচের শুরুর দিকে পাকিস্তানী বোলারদের তোপের মুখে পড়ে হারতে হারতে বলতে গেলে অসম্ভবকে সম্ভব করেছে দাশুন শানাকার লঙ্কান বাহিনী। সেই সুবাদে ২৩ রানের জয়ে ষষ্ঠ বারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা নিজেদের করে নিল ক্রিস সিলভারউডের শিষ্যরা।
ফাইনালের আগে বেশ আলোচনা হচ্ছিল টস নিয়ে। ইতিহাস বলছিল, টস জিতলেই যে আরব আমিরাতের মাটিতে ম্যাচ জেতা হয়ে যায় অনেকটাই! সেই টসে আজ জিতেছিল পাকিস্তান, নিয়েছিল ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত। টুর্নামেন্টে টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়া, এরপর রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার যে ধারা চলে আসছিল, তাতে পাকিস্তানের জয়টাকেই মনে হচ্ছিল সম্ভাব্য নিয়তি।
বিশেষ করে ম্যাচের প্রথম ১০ ওভারের পর তো বটেই! তবে সব পাশার দান উল্টে দিয়ে অবশেষে শ্রীলঙ্কাই জিতেছে আজ, তাতে পাকিস্তানের স্বপ্ন ভেঙে এশিয়া কাপটাও ষষ্ঠবারের মতো উঠে গেছে লঙ্কারদের ট্রফি কেসে।
দেশে চলছে অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিরতা। যে কারণে আয়োজক হয়েও নিজ দেশে এশিয়া কাপের পঞ্চাদশ আসর বসাতে ব্যর্থ হয়েছে শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপে অংশ নেয়া দলগুলোকে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আয়োজক হিসেবে থাকলেও আরব আমিরাতে ম্যাচগুলো আয়োজন করেছে লঙ্কানরা।
পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিতে সাম্প্রতিক সময়টা ভালোও যাচ্ছিল না তাদের। হারের বৃত্ত থেকে বের হতে খাবি খাচ্ছিল দাশুন শানাকার দল। এশিয়া কাপের চলতি আসরের শুরুটাও হয়েছিল তাদের আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাজেভাবে হেরে। কিন্তু পাশার দান পুরোই ঘুরে যায় গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশকে হারিয়ে।
এশিয়া কাপ শুরুর আগে কেউই হয়তো আশা করেনি আন্ডারডগ দলটি এশিয়ার সেরা হওয়ার দৌড়ে অংশ নিয়ে ফাইনাল পর্যন্ত আসবে? হয়তো বা কেউ সামান্যতম আশাও দেখেনি লঙ্কানদের নিয়ে যে ঘরেই রেখে দিবে শিরোপা। নিঃসন্দেহে বলাই যায় এটি ভাবনাতীত ছিল সকলেরই।
সেই শ্রীলঙ্কাই কিনা ফেভারিট হয়ে এশিয়া কাপ শুরু করা পাকিস্তানকে হারিয়ে দিল ফাইনাল ম্যাচে। তাও কিনা ব্যাক টু ব্যাক দুই ম্যাচে। দুবাইয়ের সকল পরিসংখ্যানকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে।
বলতে গেলে অসাধ্যকে সম্ভব করেছে দাশুন শানাকা এন্ড কোং। পাকিস্তানকে ১৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে বল হাতে তাদের আটকে দিয়েছে ১৪৭ রানেই। সেই সুবাদে ২৩ রানের জয়ে ষষ্ঠ বারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা নিজেদের করে নিল ক্রিস সিলভারউডের শিষ্যরা।