পাকিস্তানের সামনে ৩৬৮ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। প্রথমে ব্যাট করে ডেভিড ওয়ার্নার (১৬৩) এবং মিচেল মার্শের (১২১) জোড়া সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ৩৬৭ রানের পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া।
পাকিস্তানের পেসারদের পাড়ার বোলারদের মতো তুলোধুনো করে উদ্বোধনী জুটিতে ২৫৯ করে ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। কিন্তু এরপর ১০৮ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৭ রানে থামে অস্ট্রেলিয়া।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ভারতের বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের ১৮তম ম্যাচে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই তাণ্ডব চালাতে থাকেন অস্ট্রেলিয়ান দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। এই জুটিতে তারা ৩৩.৫ ওভারে ২৫৯ রান করেন। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটা রেকর্ড ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রানের জুটি।
এর আগে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই তারকা ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল ও মারলন ম্যামুয়েলস জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩৭২ রানের জুটি গড়েন।
তবে বিশ্বকাপে উদ্বোধনীতে রেকর্ড ২৮২ রানের জুটি গড়েন শ্রীলংকান দুই তারকা ব্যাটসম্যান তিলকরত্নে দিলশান ও উপল থারাঙ্গা। তারা ২০১১ সালের বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠ পাল্লেকেল্লেতে এই রেকর্ড গড়েন। তাদের সেই রেকর্ড আজও অক্ষত আছে।
শুক্রবার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ উদ্বোধনীতে ২৫৯ রান করার পর অস্ট্রেলিয়া শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। পরপর দুই বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপেনার মিচেল মার্শ ও তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। মিচেল মার্শ ১০৮ বলে ১০টি চার আর ৯টি ছক্কার সাহায্যে ১২১ রান করে ফেরেন।
এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, স্টিভ স্মিথ, ডেভেডি ওয়ার্নার, জশ ইনজিলস, মার্কাস স্টয়নিস, মার্নাস লাবুশেন, মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড। দলের হয়ে ১২৪ বলে ১৪টি চার আর ৯টি ছক্কার সহায্যে ১৬৩ রান করেন ডেভিড ওয়ার্নার।
পাকিস্তানের হয়ে ১০ ওভার বল করে ৫৪ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। আর হারিস রউফ নিয়েছেন তিন উইকেট।
তবে ৩৬৮ রানের কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম-উল-হক। উদ্বোধনী জুটিতে ১৩৪ রান তোলেন এই দুজন।
দলীয় ১৩৪ রানে শফিক আবদুল্লাহ আউট হলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। স্টয়নিসের বলে ম্যাক্সওয়েলের ক্যাচ হবার আগে ৬১ বলে ৭টি চার আর দুটি ছক্কায় করেন ৬৪ রান। এরপর মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে ফেরেন আরেক ওপেনার ইমাম। তিনিও মার্কাস স্টয়নিসের শিকার। সাজঘরে ফেরার আগে ৭১ বলে ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ৭০ রান।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৯ ওভার ৩ বলে পাকিস্তানের সংগ্রহ তিন উইকেটে ১৯২ রান।