আজ ১ জুন ‘বৈশ্বিক পুষ্টিতে দুগ্ধ অপরিহার্য’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে সারা দেশে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালন করা হচ্ছে। ২০০১ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ১ জুনকে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ঘোষণা করে। ওই বছর থেকে বৈশ্বিক খাদ্য হিসেবে দুধের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং দৈনন্দিন খাদ্য গ্রহণে দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য অন্তর্ভুক্তকরণে উৎসাহ দিতে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষে গতকাল (৩১ মে) সকালে রাজধানী ঢাকায় সাইকেল শোভাযাত্রা করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এটি ফার্মগেটে শুরু হয়ে আগারগাঁও, বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার সহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হাতিরঝিলে গিয়ে শেষ হয়। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রহিম, চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী সহ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সাইকেল শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
এছাড়াও দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের গুরুত্ব বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরা এবং দুধ উত্পাদনের ব্যাপারে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে রাজধানী সহ সারা দেশে প্রচারপত্র বিলি করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়েছে, দুধ সব বয়সের জন্য একটি আদর্শ খাদ্য। দুধে ৮৭.৩ শতাংশ পানি, ৩.৪ শতাংশ প্রোটিন, ৩.৫ শতাংশ ফ্যাট, ০.৭০ শতাংশ খনিজ ও প্রায় ৫.১ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট থাকে।
দুধের ৮০ শতাংশ ক্যাজিনপ্রোটিন ও ২০ শতাংশ হোয়ে প্রোটিন। এতে সব অত্যাবশ্যকীয় এমাইনো এসিড বিদ্যমান।
দেহের পেশি গঠন ও ক্ষয়পূরণে কার্যকর এবং খনিজ উপাদান শোষণে সহায়ক। কনজুগেটেড এসিড ও ওমেগা-২ ফ্যাটি এসিড রক্তপাত নিয়ন্ত্রণ ও হার্টের সুস্বাস্থ্যে সহায়ক।
দুধের ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস হাড় ও দাঁতের গঠন, ক্ষয়পূরণ ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। দুধে থাকা ল্যাক্টোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া, যা পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রাঙ্গণে ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রায় এক হাজার ৬০০ শিশুকে দুধ পান করানো হবে। পাশাপাশি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।