‘পল্লীবিদ্যুৎরে সবসময় টেকা দিছি, আইজ একবস্তা খাদ্য পাইছি’

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ইসলামপুর গ্রামের ৭০ বছর বয়সী মনোয়ারা বেগম শনিবার সকালে এসেছিলেন কোম্পানীগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিসে তবে বিদ্যুৎ বিল জমা দিতে নয় বিদ্যুৎ অফিসের অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী নিতে।

এসময় সিলেট ভয়েস এর প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় মনোয়ারা বেগমের।

তিনি বলেন, ‘সবসময় বিদ্যুৎ অফিসে আইতাম টেকা দেওয়ার লাগি, কিন্তু আইজ আইছি (এসেছি) বিদ্যুৎ অফিসের অর্থায়নে খাদ্যসামগ্রী নেওয়ার লাগি। এর লাগি আমি খুব বেশি খুশি। বন্যার সময় বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা বিদ্যুৎ’র বিলের লাগি আমরারে কষ্ট দিছে না, এর মাঝে আবার আইজ খাদ্যসামগ্রী দিছে। আল্লায় তারার মঙ্গল করবা।’

শনিবার (২৩ জুলাই) সকাল ৮টায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বন্যাদুর্গত বানভাসি পরিবারের মাঝে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর অর্থায়নে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

এসময় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের দুই শত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ত্রাণের প্যাকেটে ছিল দুই লিটার তেল, দশ কেজি চাল, দুই কেজি পেঁয়াজ, দুই কেজি ডাইল, এক কেজি চিনি, দুই কেজি আলু ও এসএমসির স্যালাইন ইত্যাদি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিসের জোনাল ম্যানেজার (ডিজিএম) মৃণাল কান্তি চৌধুরী, এজিএম কামরুজ্জামান, সহকারী ইঞ্জিনিয়ার আনিসুল রহমান, তারেক আহমদ, ফটো সাংবাদিক ফখর উদ্দীন, কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক কবির আহমদ।

এছাড়া কোম্পানীগঞ্জ জোনাল অফিসের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পল্লী বিদ্যুৎ এর অর্থায়নে ত্রাণ পেয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ইসলামপুর গ্রামের ৭০ বছর বয়সী মনোয়ারা বেগম বলেন, সবসময় বিদ্যুৎ অফিসে আসতাম টাকা দেওয়ায় জন্য। কিন্তু আজ তাদের অফিস থেকে সহায়তা পেয়ে আমরা আনন্দিত। আল্লাহ তাদের সবাইকে মঙ্গল করবে।

কোম্পানীগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিসের জোনাল ম্যানেজার (ডিজিএম) মৃণাল কান্তি চৌধুরী বলেন, এবারের বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের কয়েক লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মাঝে আমরা সহায়তা করতে পেরে আনন্দিত। প্রতিটি প্যাকেটে যে পরিমাণ খাদ্য আমরা দিয়েছি তাতে অসহায় পরিবারগুলো সপ্তাহখানেক চলতে পারবে।