পরিবারের অমতে বিয়ে করায় মেয়ের শ্রাদ্ধ করলেন পিতা। অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়ায়। ওই তরুণীর নাম দীপাঞ্জলি মল্লিক। তিনি কেন্দ্রাপাড়ার দেমাল গ্রামের বাসিন্দা মুনা মল্লিকের মেয়ে।
জানা যায়, দীপাঞ্জলির সাথে শ্রীবাস্তব মল্লিক নামে এক যুবকের দীর্ঘ দিন ধরেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে পরিবারের মত না থাকায় বাড়ি থেকে পালিয়ে নিজের পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করেছিলেন দীপাঞ্জলি। কিন্তু মেয়ের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি তার পরিবার। ক্ষোভের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, মেয়েকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে তার ছবিতে মালা পরালেন বাবা-মা। সম্পন্ন করলেন শ্রাদ্ধানুষ্ঠানও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দীপার সঙ্গে শ্রীবাস্তব মল্লিক নামে এক যুবকের দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে অস্বীকার করে দীপার পরিবার। কিন্তু প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য বেঁকে বসেছিলেন দীপা। পরিবারের মত ছাড়াই গত ২৮ আগস্ট স্থানীয় একটি মন্দিরে গিয়ে শ্রীবাস্তবকে বিয়ে করেন দীপা। বিয়েতে মেয়ের পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়রা কেউই উপস্থিত ছিলেন না। তবে পাত্রপক্ষের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারাই লক্ষ্মীবরা মন্দিরে দীপা আর শ্রীবাস্তবের বিয়ে দেন।
এদিকে মেয়ের বিয়ের খবর পেয়ে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন তার বাবা মুনা মল্লিক। তিনি মেয়ের ‘মৃত্যু’ হয়েছে বলে সবাইকে জানিয়ে দেন। শুধু তা-ই নয়, বিয়ের ঠিক ১১ দিনের মাথায় আত্মীয়-স্বজনদের ডেকে কন্যার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানও পালন করেন। করা হয় পিণ্ডদানও।
এ বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে দীপাঞ্জলি বলেন, বাবা, কাকা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা আমার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করছে। বাবা-মা আমার পাশেই ছিলেন। কিন্তু কাকারা তাদের ভুল বোঝাচ্ছে।
যদিও বরের বাবা অনাম মল্লিক বলেন, মন্দিরে সামাজিকভাবেই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। বিয়ের পর দিন ছেলের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ঘোষণা করেন তাদের মেয়েকে কুমিরে খেয়েছে। তবে দীপার পাশে তার বাবা-মা না থাকলেও শ্বশুরবাড়ি সব সময় পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।