পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের জন্মদিন আজ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী অধ্যাপক ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের (আবুল কালাম আব্দুল মোমেন) জন্মদিন ২৩ আগস্ট। ১৯৪৭ সালের এই দিনে তিনি সিলেট শহরে জন্ম গ্রহণ করেন।

আব্দুল মোমেন নর্থ ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় (বস্টন) থেকে এম.বি.এ. ও অর্থনীতিতে পি.এইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৮ সালে ‘ফোর্ড ফাউন্ডেশন ফেলোশিপ’ ও ‘হার্ভার্ড ম্যাসন ফেলোশিপ’ নিয়ে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যান। সেখান থেকে অর্থনীতি ও লোক প্রশাসনে এম.পি.এ. ডিগ্রি লাভ করেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বি.এ. অনার্স ও এম.এ. এবং এল.এল. বি. ডিগ্রি অর্জন করেছেন। সিলেট গভ: পাইলট হাই স্কুল থেকে এস.এস.সি. এবং এম.সি. কলেজ সিলেট থেকে এইচ. এস. সি. পাশ করেন।

অধ্যাপক মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, এম.আই.টি., নর্থ-ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, সেলেম স্টেট ইউনিভার্সিটি, মেরিমেক কলেজ, কেমব্রিজ কলেজ, ম্যাসাচুচেস্ট ইউনিভার্সিটি (USMASS) এবং পরবর্তীতে ফ্রেমিংহাম স্টেট ইউনিভার্সিটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ফ্রেমিংহাম স্টেট ইউনিভার্সিটির ‘ইকোনোমিকস ও বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের চেয়ারপার্সন’ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

ফ্লেমিংহাম স্টেট ইউনিভার্সিটির ইকোনোমিকস ও বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের অধ্যাপনা থেকে ২০১২ সালে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে ‘ইমিরেটাস প্রফেসর’ সম্মানে ভূষিত করে।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে জিতে সংসদে আসেন ড. মোমেন। আসনটিতে দশ বছর ধরে প্রতিনিধিত্ব করেন তার ভাই তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সংসদ সদস্য হওয়ার অনেক আগে থেকে আব্দুল মোমেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৮৭ সালে সেই সময়ের বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বর্তমানের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকা সফর করলে তার উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রে “বঙ্গবন্ধু পরিষদ” গঠিত হলে তাকে এবং ড. এনায়েত রহিমকে যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয়।

২০০১ সালের নির্বাচনে ‘ব্যাপক কারচুপি’ হলে ড. মোমেন তা তিন পর্বে প্রবন্ধ আকারে পত্রিকায় প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে আব্দুল মুহিত আরো অনেকের প্রবন্ধ নিয়ে আওয়ামী লীগের সি.আর.আই. এর পক্ষ থেকে ‘কারচুপির নির্বাচন-২০০১” বা ‘Rigged Election 2001’ গ্রন্থটি প্রকাশ করেন। তিনি বিএনপি সরকারের সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া জাতিসংঘ রেডিও’তে বাংলা সম্প্রচার পুনরায় চালু এবং বাংলায় ওয়েব পেইজ চালু করেন। তিনি শান্তি রক্ষী বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার ডলারে উন্নীত করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

এছাড়া তিনি জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনের সিনিয়র উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের মহাসচিব তাকে Ambassador of Consensus Building এবং তার সহকারী বিদেশী রাষ্ট্রদূতেরা তাকে ‘আমাদের নেতা’ (Our Leader) হিসেবে সম্বোধন করতেন।