পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির কল্পিত অভিযোগের নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কমিশন গঠন করে দুই মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আগামী ২৮ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
পদ্মা সেতু নির্মাণের বিপক্ষে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে দৈনিক ইনকিলাবে ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ইউনূসের বিচার দাবি: আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। একইসঙ্গে এ জাতীয় অন্যান্য দৈনিকের প্রতিবেদনেও শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সহ অনেকের নাম উঠে আসে। সেসব প্রতিবেদন ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনগুলো আমলে নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল সহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে মিথ্যা গল্প সৃষ্টিকারী ও প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার জন্য কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে, চেয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে তাদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সচিব এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এছাড়াও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে ‘ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৬৫ (৩ ধারা)’ অনুসারে কমিশন বা কমিটি গঠন এবং এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা ৩০ দিনের মধ্যে আদালতকে অবহিত করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর কয়েকদফা সময় নেওয়ার পরও কমিশন গঠন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। তবে সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে কমিশনের সদস্য হিসেবে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (কারিগরি) মো. কামরুজ্জামানের নাম সুপারিশ করা হয়।