নৌকাডুবিতে একজন নিহত, অপরজন নিখোঁজ

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরে আচমকা ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ২ জনের মধ্যে মুজিবুর রহমান (৪৫) নামের একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তি চন্ডিপুর গ্রামের সফিক উদ্দিনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুর ১২ টার দিকে চাপতির হাওরে কালীবুই বিল এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের নেতা কবির মিয়া।

এ ঘটনায় নিখোঁজ অপর ব্যক্তি একই গ্রামের মির্জা হোসেনের ছেলে আনহার মিয়ার (১৭) এখন পর্যন্ত কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্য ও স্বজনরা।

জানা গেছে, বুধবার (১৩ জুলাই) রাতে মুজিবুর রহমান, আনহার মিয়া ও পারভেজ মিয়া ইঞ্জিনচালিত ছোট নৌকায় করে প্রতিদিনের মতো হাঁসের খাদ্য সংগ্রহের জন্য চাপতির হাওরে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটে। নৌকাডুবির কবলে পড়া ৩ জনই হাঁসের খামারি বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে আচমকা দমকা হাওয়াসহ প্রবল ঝড়ের কবলে পড়ে জগদল গ্রামের পার্শ্ববর্তী জায়গায় নৌকাটি ডুবে যায়। মাটিয়াপুর গ্রামের পারভেজ মিয়াকে মাতারগাঁও গ্রামের লোকজনের সহযোগিতায় অজ্ঞান অবস্থায় পেয়ে নিকটস্থ কলিয়ারকাপন বাজারে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। নৌকাডুবির ঘটনাটি জানাজানি হলে নিখোঁজদের স্বজন ও স্থানীয় লোকজন সারা রাত হাওরে খোঁজাখুঁজি করেও তাদের কোনো সন্ধান পাননি। খবর পেয়ে সুনামগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বৃহস্পপতিবার ভোরে ঘটনাস্থলে আসে। তারা দুপুর পর্যন্ত ১ জনের লাশ উদ্ধার করেছে।

পুলিশ নিহত মুজিবুর রহমানের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার পর বিকেল ৪টায় জানাজার নামাজ শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর মেয়র বিশ্বজিৎ রায় চন্ডিপুর গ্রামে নিহত মুজিবুর রহমানের বাড়িতে যান এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।