নেত্রকোনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক আমলা সাজ্জাদুল হাসান। সাজ্জাদুল হাসান সিলেটের সাবেক জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শুক্রবার (২১ জুলাই) গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
নেত্রকোনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেবেকা মমিনের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী, এ আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ২৪ জুলাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩১ জুলাই। পহেলা আগস্ট প্রতীক বরাদ্দের পর ২ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নেত্রকোনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে সাজ্জাদুল হাসান ছাড়া আরও আটজন দলটির মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত সাবেক এই আমলার উপরই আস্থা রাখলো আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব।
সাজ্জাদুল হাসানের জন্ম নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলায়। তিনি মোহনগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঢাকা কলেজ থেকে যথাক্রমে এসএসসি ও এইচএসসি সম্পন্ন করেন। তাঁর পিতা আখলাকুল হোসাইন আহমেদ বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। ১৯৭০ এর নির্বাচনে মোহনগঞ্জ ও বারহাট্টা নির্বাচনী এলাকা থেকে তিনি প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। সাজ্জাদুল হাসানের বড় ভাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
সাজ্জাদুল হাসান কক্সবাজার ও সিলেট জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সালে সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি তিনি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ থেকে পদোন্নতি পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব পদে উন্নীত হন। ২০১৯ এর ২৫ ডিসেম্বর তিনি সিনিয়র সচিব পদে উন্নীত হন।
সাজ্জাদুল হাসানকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ বিমানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয় ২০২০ এর জানুয়ারিতে। তিনি বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি।