সিলেটে বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের ধরপাকড় ও বাসা-বাড়ীতে পুলিশী তল্লাশীর নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী।
অবিলম্বে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি, গ্রেফতার ও বাসা-বাড়ীতে পুলিশী তল্লাশীর বন্ধের আহ্বান জানান তিনি।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কোন উস্কানী ছাড়াই বিএনপি অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার ও বাসা-বাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পুলিশী তল্লাশীর ঘটনায় সিলেটজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করতেই মূলত এই ধরপাকড় চালানো হচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি বলেন, শুধু সিলেট সিটি নয়, বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে যাবে না। এরপরও সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে নগরীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন-পীড়ন ফ্যাসিবাদী শাসনের ধারাবাহিকতার
বহিঃপ্রকাশ।
তিনি আরও বলেন, গত মঙ্গলবার নগরীতে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল থেকে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক যুবদল নেতা পারভেজ খান জুয়েল, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক যুবদল নেতা আব্দুস সালাম টিপু ও মহানগর সহ সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, ছাত্রদল নেতা জুনেদ হোসেন, রাজু আহমেদ, কামরুল হাসান, সাইফুল ইসলাম সোহাগ ও হাফিজুলসহ ৮জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর শুক্রবার পর্যন্ত সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক শামীম মজুমদার, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুস সবুর, ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ লাহিন, ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ডা. বদরুল ইসলাম, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলিবুর রহমান আলী, মহানগর ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মির্জা হাবিব, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা যুবদলের সদস্য সায়েফ আহমদ, ছাত্রদল নেতা ইমন সহ প্রায় ২০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে এই বিএনপি নেতা বলেন, সিলেট নগরীতে প্রতিদিনই গণহারে গ্রেপ্তার চলছে। ফলে গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। গণতান্ত্রিক দেশে পুলিশের এমন আচরণ কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। গ্রেপ্তার নির্যাতন চালিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। নিরীহ দলীয় নেতাকর্মীদের
গণগ্রেপ্তার, বাসা-বাড়ীতে পুলিশী তল্লাশীর নামে হয়রানী বন্ধ করুন ও অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন।