নীরবতা ভাঙলেন আনোয়ারুজ্জামান, কথা বললেন ফেসবুক লাইভে

লাইভ থেকে সংগৃহীত

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তার ফেসবুক পেইজে লাইভে এসেছেন। বাংলাদেশ সময় আনুমানিক বিকাল ৫ টার দিকে ১৮ মিনিটের একটি ভিডিও বার্তায় তিনি হাজির হন। অজ্ঞাত অবস্থান থেকে করা ফেসবুক লাইভে আনোয়ারুজ্জামান আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার গুণকীর্তন এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। লাইভের ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘প্রিয় দেশবাসী আসসালামুয়াইলাইকুম।’

ভিডিও বার্তার শুরুতেই তিনি বলেন, সিলেটবাসী তথা পুরো দেশবাসীকে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।

আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে জোরপূর্বক ‘হত্যার’ করার জন্য ড. ইউনুস, হামিদ কারজাই ও তাদের দোসররা ক্ষমতা দখল করেছে। আমি সিলেটের নির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামানসহ ১২ সিটি করপোরেশনের মেয়র, পৌর মেয়র, জেলা পরিষদ- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বাদ দিয়ে ড. ইউনূস সরকার স্বৈরাচারী মনোভাব দেখিয়েছেন উনি গনতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না। এমনকি তাঁর উপদেষ্টারাও গনতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না। তারা দেশকে জিম্মি করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর বাড়িঘর ভেঙ্গে পুড়িয়ে দিয়েছে, যে কালচার কোনো দিনই বাংলাদেশে ছিল না। তারা পুলিশসহ নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। আজকে তারা হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্নাকে। এরকম তারা আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের শিক্ষকদের বেইজ্জতি করেছে। এসব নির্যাতনের বিচার একদিন বাংলাদেশে হবে।’

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দাবি করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা এখনও পদত্যাগ করেননি। তাকে জোর করে দেশছাড়া করা হয়েছে। দেশে থাকলে তাকে হত্যা করা হতো। শেখ হাসিনা অচিরেই বাংলাদেশে ফিরবেন।’

আনোয়ারুজ্জামানের এই লাইভে অন্তত ৫ হাজার ব্যবহারকারীরা মন্তব্য করেছেন যেগুলোতে বেশিরভাগই তার দিকে নেতিবাচক মন্তব্যের তীর ছুঁড়ে দেয়। অনেকে আবার তার কাছে জানতে চেয়েছেন তিনি এখন কোথায় আছেন? সিলেটে নেই কেন?

উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) পঞ্চম নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান। ওই বছরের ৭ নভেম্বর নগরভবনে মেয়রের বসে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।