সুনামগঞ্জ মধ্যনগর উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী বিরোধের জেরে আইনজীবী আরিফুর রহমান ঝিনুক ও তার বাবা পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে আইনজীবীদের মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) সকালে সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে সমিতির ভবন প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে মধ্যনগর উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক ভূইয়া ও তার সমর্থকরা তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী সাইদুর রহমান ও তার ছেলে আইনজীবী আরিফুর রহমান ঝিনুকের বাড়িতে ঢুকে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা করেন। আহতদের বাড়িঘরেও হামলা চালিয়ে তাদের পরিবারের উপর নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটায়। বিজয়ী প্রার্থীর বড় ভাই পুলিশের ডিআইজি হওয়ায় স্থানীয় পুলিশের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। হামলার শিকার হয়েও তাদেরকে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। আইনজীবী আরিফুর রহমান ও তার বাবা গুরুতর আহত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বক্তারা আরো বলেন, ঘটনার এতদিন পরেও অপরাধীরা ডিআইজির ভাই-ভাতিজা হওয়ায় তাদের প্রভাবে পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। এমনকি কাউকে আটক বা কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাই দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন আইনজীবীরা।
মানববন্ধন বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক শেরেনুর আলী, আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক, আইনজীবী সমিতির সদস্য আজাদুল ইসলাম রতন, অ্যাড. নুরে আলম সিদ্দিকী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ৫ জুন মধ্যনগর উপজেলা নির্বাচনের বিরোধে গেল শুক্রবার বিজয়ী প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক ভূইয়া ও তার সমর্থকরা তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী সাইদুর রহমান ও তার ছেলে আইনজীবী আরিফুর রহমান ঝিনুকসহ তাদের পরিবারের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত হয়ে সাইদুর রহমান ও আরিফুর রহমান ঝিনুককে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠান। এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো এমরান হোসেন বলেন, ঘটনায় এক পক্ষ সাইদুর রহমান ও আরিফুর রহমান ঝিনুককে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে আহত আর কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেননি, করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।