তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭১ সালে দেশের জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলাম। এবার নিজ জন্মমাটির মানুষের সেবা করার জন্য নির্বাচনে এসেছি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে যেসব প্রার্থী রয়েছেন এরমধ্যে আমিই একমাত্র খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা। শেষ বয়সে আমি আপনাদের ভালবাসা চাই।
সোমবার রাত ৮টায় সিলেট-৬ আসনে সোনালী আঁশের সমর্থনে আয়োজিত গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের রফিপুর গ্রামে উঠান বৈঠকে এ কথাগুলো বলেন।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর আমাদের সিলেট। কিন্তু আমরা এর সুফল ভোগ করতে পারছি না। বিশেষ করে আমাদের গোলাপগঞ্জের তেল গ্যাস সারাদেশের মানুষ ভোগ করছে কিন্তু আমরা এ থেকে বঞ্চিত। আমি নির্বাচনে জয়ী হলে এসব দাবি ধাওয়া আদায় করার জন্য কাজ করে যাবো। তিনি আগামী ৭ জানুয়ারি সোনালী আঁশ প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য উপস্থিত সকলের প্রতি আহবান জানান।
উঠান বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম বলেন, দুর্বল নেতৃত্বের কারণে আমরা অন্যান্য অঞ্চল থেকে পিছিয়ে রয়েছি। এবারের নির্বাচন প্রতীকের নির্বাচন ও ব্যক্তির নির্বাচন। এ নির্বাচনে যোগ্য দেখে কাজ করতে দলীয় কোন বাধানিষেধ নেই। এ নির্বাচন প্রতীকের হলে নৌকার পক্ষেই আমি থাকতাম।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বর্তমান সংসদ সদস্যের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ বিগত দিন নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে জয়ী হয়ে সম্মানিত হয়েছেন। কিন্তু বিগত উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করে নৌকা ডুবাতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন৷ আমরা এবার এর জবাব জনগণ দেবে৷ আর কোন মিষ্টি কথায় জনগণকে ধোঁকা দেওয়া যাবে না।
উঠান বৈঠকে ফুলবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশাহিদ আলীর সভাপতিত্বে ও আওয়ামী লীগ নেতা কাঞ্চল পালের পরিচালনায় বক্তব্য দেন ইউপি সদস্য গিয়াস আহমদ, শেহনাজ আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হাম্মাদ আহমদ, জুনেদ আহমদ চৌধুরী, আব্দুল্লাহ মিয়া, রিয়াজ আহমদ, আব্দুল মালিকসহ রফিপুর গ্রামের কয়েক শতাধিক কর্মী সমর্থক।
এদিকে এ উঠান বৈঠকের পর লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের জাঙ্গালহাটা গ্রামে আরেকটি উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।